বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন বেপারীপাড়া এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী আতœহননের ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই আরো এক তরুন আতœহত্যা করেছে। তবে সেই তরুন আর কেউ নয়,২৪ঘন্টা আগে আতœহননকারী শান্তার প্রেমিক নাদিমের বন্ধু সিয়াম। মূলতঃ বন্ধু নাদিমের প্রেমিকা শান্তা আতœহননের ঘটনায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়েই সিয়াম গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের জীবন বিসর্জণ দেয়। মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে পর পর দু’টি আতœহননের ঘটনা গোটা বন্দরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আতœহননকারী সিয়াম একজন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি। পুলিশ সিয়ামের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,বন্দর বেপারীপাড়া এলাকার দীন ইসলাম মিয়ার ছেলে নাদিম বিয়ের প্রলোভনে ফেলে দীর্ঘ দিন ধরে তার সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক থাকে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার আগের দিন রাতে শান্তা ও সাথী দুই বোনকে রেখে গ্রামের বাড়িতে যাই। খালি বাড়িতে একা পেয়ে নাদিম,নাদিমের বাবা দীন ইসলাম,মা আনোয়ারা,বোন সোনিয়া,ভগ্নিপতি শাহিন ও চাচা নয়নসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে গার্মেন্টসকর্মী শান্তাকে মারপিট ও গালমন্দ করে। প্রেমিক ও স্বজনদের অত্যাচার সইতে না পেরে শুক্রবার গভীর রাতে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না বেধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে। ভোরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রান্না ঘরের আড়ার সাথে লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠে। পরে খবর পেয়ে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহের সুরত হাল করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ মারপিটের সময় প্রেমিক নাদিমের সঙ্গে বন্ধু সিয়ামও জড়িত ছিল বলে বিভিন্ন জনের মুখে শুনে ওই ঘটনায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে সিয়াম রোববার ভোরে ফাঁকা বাড়ি পেয়ে সকলের অজান্তে ঘরের আড়ার লোহার এঙ্গেলের সঙ্গে ওড়না বেধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ সিয়ামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।