বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শনিবার সকাল ১১.০০টা। ফতুল্লা মডেল থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে বিভিন্ন সমস্যায় জিডি ও অভিযোগ করতে এসেছেন একাধিক ভোক্তভোগী সাধারন মানুষ। এ সময় ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার এস আই সফিউল্লাহ। একের এর এক সাধারন মানুষ তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরছেন ডিউটি অফিসারের কাছে। সেবাপ্রার্থী সাধারন মানুষের কথা শুনে নিজেই এক টুকরো কাগজ ও কলম নিয়ে ভোক্তভোগী ব্যাক্তির সমস্যার ধরন অনুয়ারী সাধারন ডায়রী কিংবা অভিযোগ লিখে দিচ্ছেন। আর তা ডিউটি অফিসারের অগোচরে পাশে দাড়িয়ে পর্যবেক্ষন করছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একাধিকবার শ্রেষ্ট ওসি হিসেবে যোগ্যতা অর্জনকারী সুযোগ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন। জিডি কিংবা অভিযোগ লিখা শেষ হবার পর পারিবারিক কলহ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসা ভোক্তভোগী মহিলা রুনা আক্তার ডিউটি অফিসার সফিউল্লাহকে ৫০০ টাকার একটি নোট দিতে চান। এ সময় ডিউটি অফিসার সফিউল্লাহ্ সেবা নিতে আসা সেবাপ্রার্থী রুনা আক্তারকে আশ^স্থ করে বলেন ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি কিংবা অভিযোগ করতে টাকা লাগে না। আমরা আপনাদের সেবা প্রদানের জন্যই নিয়োজিত আছি। গত কয়েকদিন ধরে চলে আসা ডিউটি অফিসারদের এমন আচরনে মুগ্ধ ফতুল্লা মডেল থানায় সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ। আর দীর্ঘদীনের ডিউটি অফিসার কতৃক জিডি কিংবা অভিযোগ বানিজ্যের বদনাম গুছাতে যার সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে আসছেন তিনি আর অণ্য কেউ নন ফতুল্লা মডেল থানার শ্রেষ্ট্র ওসি কামাল উদ্দিন। ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি কিংবা অভিযোগ করতে অর্থ লাগে না এমন পরিবর্তনের জন্য ফতুল্লার আপাময় জনতা ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিনের কঠোর নির্দেশনা এবং মানুষের সেবা করার ইচ্ছা শক্তির প্রয়াস বলেই মনে করেন।
ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকার লিয়াকত মিয়া নামের এক ব্যাক্তি জানান, সেবা নিতেই ফতুল্লা মডেল থানায় এসেছি। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি হিসেবে অন্যান্য ওসি থাকাকালীন সময়ে দেখেছি ঘটনার ধরন অনুয়ারী তাদের অর্থ প্রদান করা হতো অথচ ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন যোগদানের পর থেকে থানার চিত্র পুরোটাই পাল্টে গেছে। থানার প্রতিটি কর্মকর্তা সাধারন মানুষের সেবা প্রদানে সদয় প্রস্তুত থাকে। ফতুল্লা মডেল থানার প্রতিটা পুলিশ সদস্যদের ব্যবহারে সাধারন মানুষ এতটাই মুগ্ধ যা কিনা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবে না। দেশের প্রতিটা থানায় যদি ফতুল্লা মডেল থানার সুযোগ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিনের মতো লোকজন দায়িত্বে থাকতেন তাহলে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার সোনার বাংলাদেশ গড়তে তেমন একটা বেগ পেতে হত না। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি পুলিশের একজন আইডল। তার মত ওসির মাধ্যমেই পুলিশের ভাবমূতি উজ্জল হচ্ছে। আমরা চাই অপরাধীদের যম এবং নিরীহ মানুষের আশার আলো ওসি কামাল উদ্দিন দীর্ঘদীন ফতুল্লাবাসীর মাঝে থেকে সেবা করে যাক।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানান, মানুষকে সেবার মাধ্যমেই মহান সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়া যায়। অনেক স্বপ্ন এবং আশা নিয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করা। আমার মাধ্যমে অন্যায় হবে এটা সম্ভব নয়। নীরিহ মানুষ আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবে এটা আমার রোল্স। প্রভাবশালীদের রক্ত চক্ষুকে ঊপেক্ষা করে নীরিহ মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করার জন্যই পুলিশের চাকরি বেছে নিয়েছি। আমার কাছে অপরাধী যতই প্রভাবশালী হউক না কেন ছাড় পাবে না, বরং নীরিহ মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমার লক্ষ্য। তিনি ফতুল্লাবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আমি যেন আমার চাকুরির শেষ সময় টুকু নীরিহ মানুষের পাশে থেকে সাধারন মানুষের সেবা করতে পারি। ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, মানুষ মরে গেলে কিছুই থাকে না বরং তার ভাল কাজের মাধ্যমে সর্বদাই মানুষের মাঝে বেঁেচ থাকে। আমিও সৃষ্টিকর্তাকে খুঁশি রাখাসহ ভাল কাজের মাধ্যমে সাধারন মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে পারি এ উদ্দেশ্যেই আমার পথচলা।