বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দর শাহী মসজিদস্থ ঠাকুরবাড়ী এলাকায় সরকারি গেজেটে অর্ন্তঃভূক্ত নিরীহ ভূমিহীণদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টাকালে হাবিবুর ওরফে হাবু(৩০)নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। শনিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। সন্ত্রসী হাবু ও তার সহযোগীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ ভূমিহীণদের সম্পত্তি পুণরুদ্ধারের দাবিতে এলাকার শত শত নারী পুরুষ,আবাল বৃদ্ধ বণিতা বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরিশেষে এলাকাবাসী স্থানীয় ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়ার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পূণর্ঃনিবাচিত মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি স্মারকিলিপি পেশ করেন। এলাকাবাসী জানায়,বন্দরের সোনাপুর মৌজাস্থিত ১৪ দাগের ৫৬ শতাংশ সরকারি নাল জমি এলাকার নিরীহ ভূমিহীনরা ব্যবহার করে আসছে। ইদানীং তা দখলে নিতে স্থানীয় বন্দর শাহী মসজিদ ঠাকুরবাড়ী এলাকার জয় মিয়ার ছেলে আমানউদ্দিন,হাবু মিয়া,আলেক মিয়ার ছেলে নূরা,সুলতান,স্ত্রী হাফেজা,মৃত ফয়জুদ্দিনের ছেলে তমিজউদ্দিন ওরফে তমু,তমুর ছেলে রয়েল ও নূরুল ইসলামের ছেলে জুয়েলসহ একটি প্রভাবশারী চক্র পাঁয়তারা চালায়। বৃহস্পতিবার সকালে চিহ্নিত ওই চক্রটি ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে নিজেদেরকে ওই সম্পত্তির মালিক দাবি করে দখলের চেষ্টা করলে এলাকবাসীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য স্থানীয় ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মদ ভূইয়া ও বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কাউন্সিলর সুরতান আমানউদ্দিন হাবু গংকে বাধা দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাবু ও তার সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতিতেই কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মদের উপর চড়াও হয়ে গালমন্দ করে। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুলতানকে কোপানোর জন্য উদ্যত হলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী হাবুকে অটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে এলাকার সর্বস্তরের নারী পুরুষ ও বৃদ্ধ বণিতা বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরিশেষে এলাকাবাসী স্থানীয় ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়ার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পূণর্ঃনিবাচিত মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি স্মারকিলিপি পেশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রহমান মিয়া,খোরশেদ আলম,নাছির মিয়া,আবুল হোসেন,শাহাবুদ্দিন মিয়া,নুর হোসেন,মাঈন উদ্দিন,গোলজার মিয়া,নাছির মিয়া,হালিম মিয়া,আমিন,আব্দুল মতিন,জাহাঙ্গীর হোসেন,দেলোয়ার হোসেন,শাহ আলম,বাবুল মিয়া,আনোয়ার হোসেন,মাওলানা শাহজালাল,বাবুল,রিয়াজুল,আলাউদ্দিন,কুদরত মিয়া,মনা মিয়া,সোহেল মিয়া,সানোয়ার মিয়া,আজাদ মিয়া,পনির মিয়া,রাজু মিয়া,সোহান,শিল্পী বেগম,ডলি আক্তার,পাখি আক্তারসহ শতশত নারী পুরুষ। এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।