মো: শরীফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জের সর্বালোচিত সেভেন মার্ডারের মামলার প্রধাণ আসামী সন্ত্রাসীদের গডফাদার নূর হোসেনকে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড. খোকন সাহা।
সোমবার সকাল ১০ টা ৫ মিনিটে মামলায় অভিযুক্ত ৩৫ আসামীর মধ্যে সন্ত্রাসীদের গডফাদার নূর হোসেন ও র্যাব-১১’র তৎসময়কার অধিনায়ক লে.কর্ণেল তারেক সাঈদ,উপ-অধিনায়ক মেজর আরিফ, লে.কমান্ডার এম এম রানাসহ ২৬ জনকে ফাঁসির দন্ডাদেশ দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ আদেশ দেন। এছাড়া বাকী ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
নিহত প্যাণেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যান চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার রায় ঘোষনার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, এ মামলার এজাহারভূক্ত আসামী আওয়ামীলীগের চার নেতাকে মামলার চার্জশীট থেকে নিজ ক্ষমতাবলে বাদ দিয়েছেন।
শহীদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, এই রায়ে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি, আংশিক সন্তুষ্ট হয়েছি। কারন সাংসদ শামীম ওসমান ও এড. খোকন সাহা এই মামলার প্রধাণ আসামী নূর হোসেনকে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তাছাড়া এই মামলার অন্যতম আসামী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াসীন, ইকবাল, রাজু ও আশিককে নিজ দলের নেতা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে মামলার চার্জশীট থেকে বাদ দিয়েছেন শামীম ওসমান ও খোকন সাহা। তাই আজকের রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তিনি আরো বলেন, আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট হবো ঐদিন প্রশাসন এ মামলার বাকী ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে ২৬ জনের মতো তাদেরকেও ফাঁসির আদেশ দিবেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জনকে অপহরন করে খুনের পর লাশ গুম করা হয়। পরে ৩০ এপ্রিল সকালে শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দরের মদনগঞ্জস্থ শান্তি’র চর এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ৬ জনের এবং ১ মে এক জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় পাল নূর হোসেনকে প্রধান আসামী করে থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।