বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, বন্দরের মানুষ অনেক ভাল এটার মধ্যে কোন ভুল নাই। আমার ভাইকে তারা যেভাবে ভালবেসে গ্রহণ করেছিলেন আমাকেও সেইভাবে সম্মান জানিয়ে আসছেন। তাইতো আগেও বলেছি এখনো বলি আমার মৃত্যুর পর আমার কবর যেন এই বন্দরের মাটিতে হয়। যতদিন বাঁচবো বন্দরবাসীর গোলামী করে যেতে চাই। আমি শুধুই আপনাদের গোলামী করতে এসেছি। সোমবার বিকেল ৫টায় বন্দর উপজেলার মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এমভি গ্রুপ আয়োজিত দুই দুইবারের নন্দিত চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মাকসুদ হোসেনের কালজয়ী সংবর্ধণানুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেলিম ওসমান আরো বলেন,আমি শুভেচ্ছা জানাই কাদির ডিলার সাহেবকে। উনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলেই আজকে এত সুন্দর একটা নির্বাচন হয়েছে। আমি যদি আজকে ওনাকে এখানে পেতাম তাহলে তাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধণা জানাতাম। উনি নির্বাচনের পর একটা সুখবর আমরা পেয়েছি যেটা কিনা বাংলাদেশের সবক’টি অঞ্চলে নির্বাচনের আগে এবং পরে মারামারি হয়েছে শুধুমাত্র বন্দরেই একটি ইতিহাস সেরা নির্বাচন হয়েছে। এলাকার শান্তি চান একটা জিনিস মানতে হবে যার সম্মান আছে তাকে সম্মান দিতে হবে। এখানে যে ব্যাংকের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেটার জন্য আমার সহযোগিতা থাকবে। মাকসুদ সাহেবকে বলবো উনি একটা সুন্দর জায়গা ঠিক করুক আমি ব্যাংক এনে দিব। আমি বন্দরেও একটা ব্যাংক এনে দিয়েছি। কোন সমস্যাই রাতারাতি সমাধা করা যায়না। আমাদেরকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আপনারা কৃষি মেলা সফল করে সারা বাংলাদেশে যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেটা অস্বীকার্য। আমি মনে করি আমার কাছে কোন দাবি করার কিছু নাই আপনারা শুধুমাত্র শান্তি স্থাপন করেন। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি। আপনারা অপরাজনীতি বন্ধ করুন। আপনারা মিলেমিশে থাকুন। দাবি আমার কাছে করতে হবেনা আমি আপনাদের কাছে দুইটা দাবি করবো টাকা লাগবেনা পয়সা লাগবেনা। আপনারা সন্তানরা সঠিকভাবে যাতে লেখাপড়া করতে পারে ২০১৭ সালে আপনাদের সনন্তানদের পড়ালেখা করতে এক পয়সা লাগবেনা। মাকসুদ চেয়ারম্যানের জন্য এরচাইতে সুখবর আর কিছু আছে। চেয়ারম্যান সাহেবদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে আমাকে জানাবেন। না হয় রশীদ ভাই অথবা জাহের ভাইকে জানাবেন। মাদকের বিরুদ্ধে আপনারা যে অভিযোগটি উত্থ্যাপন করেছেন সেটি কোন বিষয় নয়। এইরকম একজন ওসি সাহেব থাকতে মাদক তো দূরের কথা কোন অপরাধই সংঘটিত হতে পারবেনা। বেশি বেশি করে খেলাধূলার ব্যবস্থা করলে আমার মনে হয় মাদকের কোন ছোবলই গ্রাস করতে পারবেনা। ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন দেখবো কোন ইউনিয়ন জয়ী হয়।
মাকসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ এম এ রশীদ,নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ¦ আবুল জাহের,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মাসুম আহমেদ,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু,মিসেস মাকসুদ নার্গিস,মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আহমেদ ও সাবেক ইউপি মেম্বার আলহাজ¦ সাহাবুদ্দিন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,মাকসুদ হোসেনের পিএস মোঃ ইকবাল হোসেন,মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ আলমগীর হোসেন আপেল,ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ। জমকালো এ অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এমভি গ্রুপের সদস্য মোঃ জনি,মুসাপুর ইউনিয়ন যুব সংহতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহসিন আহমেদ,সুবল সাহা,গকুল পাল,শামীম আহমেদ,হোসেন,কবির হোসেন,হানিফ কবীর,মোক্তার হোসেন,বাহাউদ্দিন,কবির সরকার প্রমুখ।
লানা মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
