বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে বন্ধ হয়নি রুপালী-আমিন আবাসিকসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ। প্রতিদিনই ওই এলাকাগুলোতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে বাণিজ্য করছে কিছু সংখ্যক গ্যাসচোর চক্র। অভিযোগ উঠেছে এদের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত রয়েছে প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা। জানা যায়,গ্যাস চোর চক্রের সাথে বন্দর ফাড়ির ইনচার্জ মিজানের দহরম মহরম রয়েছে। এই গ্যাস চোর চক্রটি এই অসাধু দারোগাকে মোটা অংকের মাসোহারাও দিয়ে থাকে। আবাসিক এলাকাগুলোতে গভীর রাতে প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নামধারী গ্যাসচোর কামাল শিকদার ও হানিফ কিবরিয়া। এখানেই থেমে নেই তারা। এখন অবৈধ গ্যাস সংযোগে সংবাদ পেয়েও পুলিশ ঘটনাস্থলে না গিয়ে অভিনব কৌশলে বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে গ্যাসচোর কর্তৃক তারা তাদের টাকা পেয়ে যায়। এমনই একটি ঘটনা শনিবার দুপুরে থানার ছালেনগর এলাকায় ঘটে। তখন দুপুর ২টা বাজে। রুপালীতে মালেক শিকদারের বাড়ী সংলঘœ গলিতে গ্যাসচোর কামাল শিকদার ও হানিফ কিবরিয়ার নেতৃত্বে চোরাই গ্যাস সংযোগ চলছিল। এ সময় বন্দর ফাঁড়ির দারোগা মিজান কামাল শিকদাকে ফোন করে গালমন্দ করে কিন্তু পরক্ষনেই দারোগা মিজান নিজে ছালেনগর এসে কামালের কাছ থেকে নগদ ২০হাজার টাকা দাবী করে। তখন কামাল দারোগা মিজানকে ফাঁড়িতে ফেরত পাঠিয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে দেয়। মিজান কামালকে বলে আমি যতদিন বন্দর ফাঁড়িতে আছি তুই যা মন চায় কর বাবা কিন্তু কথা একটাই টাকা দিতে হবে। রুপালী গেইট এলাকার এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ সরকার ঘোষনা দেয় যে এখন থেকে আর কোন আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না,আর যদি দেওয়া হয়,তাহলে এটি হবে অবৈধ। যারা এর সাথে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের এ ধরণের ঘোষনার কোন তোয়াক্কাই করছে না গ্যাসচোর চক্র। ওই এলাকা গুলোতে অবাধে ১ইঞ্চি পাইপ দিয়ে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে যা ভবিষ্যতে যে কোন সময় বড় ধরণের অঘটন ঘটতে পারে। এদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে এ সমস্ত অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও আজ অবধি প্রশাসন কিংবা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তেমন কোন কার্যকর ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। একদিকে বিচ্ছিন্ন করা হলে অন্যদিকে পুণরায় সংযোগ দিয়ে দিচ্ছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগকারী নেতা কামাল শিকদারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান,আপনারা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন ঠিক কিন্তু কোন কিছু হবে না। শুধু আমাদের খরচ কিছুটা বেড়ে যায়। কারণ সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে হয়। কেননা তারা বিষয়টি জানার পর আমাদের গিয়ে টাকা দিতে হয়। আর এই টাকা অনেক পুলিশ কর্মকর্তার পকেটে যায়। আর তারা যদি টাকা না নিত তাহলে আমাদের জীবন জেল হাজতে কাটত। সরকারের বড় রকমের এই পুকুর চুরি থেকে পরিত্রান পেতে জরুরী ভ্রাম্যমান আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন মহল।