বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান।
” রুখে দাড়াও বাংলাদেশ, গর্জে উঠো বাংলাদেশ ” এই শ্লোগানে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় চাষাঢ়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও জঙ্গী হামলায় নিহত ও আহতদের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শামীম ওসমান বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটি গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করা হচ্ছে। আমাদেরকে এখন থেকেই সজাগ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে এসকল জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। আর জনগনের শক্তির কাছে অপশক্তিরা কখনো সামনে দাড়াতে পারবেনা। নারায়ণগঞ্জের কিছু পত্রিকার মালিক রাজাকারের সন্তান। তারা স্বাধীনতার শক্তিকে নিস্তেজ করে পাকিস্তানি শাসন কায়েম করতে চায়। আইজ্জা রাজাকারের ছেলে জহির এখন কেন্দ্রীয় খেলাঘরের নেতা। এই যদি হয় দেশের অবস্থা সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাড়াবে।
তিনি আরো বলেন, ৭১’রে নরপিশাচরা কত কিছুইনা করেছে। ভাইয়ের সামনে বোনের ইজ্জত কেড়ে নিয়েছে। বাবাকে বেধে রেখে মেয়েকে ধর্ষন করেছে আমাদের মা-বোনের ইজ্জত ছিন্ন ভিন্ন করেছে সেই রাজাকারের দল এদেশে ক্ষমতাও ভোগ করেছে ভাবতে পারেন এটাওকি সম্ভব। সম্ভব রাজাকার আলবদর আল সামশসরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এদেশে এমন অবাক হওয়ার মতো ঘটনাই ঘটবে। স্বাধীনতার এসব ইতিহাস আপনাদের মুখ থেকেই শোনা।
শামীম ওসমানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, জেলা পুলিশ মঈনুল হক, র্যাব-১১ এর কমান্ডর লে. কর্নেল কামরুল হাসান, সদর ইউএনও তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি চন্দনশীল, কমান্ডর গোপী নাথ দাস, রবিউল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, হিন্দু নেতা পরিতোষ কান্তি সাহা, শিখন সরকার শিপন, শংকর সাহা, মহিলা নেত্রী ড. শিরীন বেগম, ইসরাত জাহান স্মৃতি, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মনির শাহ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান রিয়াদ সহ বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতা কর্মীবৃন্দ।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১১জন নিউক্লিয়াস ছিল তার মধ্যে আমার বাবাও ছিলেন একজন যেই ব্যাক্তিটিকে প্রধাণমন্ত্রী নিজে একুশে পদক দিয়েছেন। আমাদের গায়ে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত সুতরাং আমরাও কিন্তু ছাড় দেবোনা। আমরা নারায়ণগঞ্জকে রাজাকার এবং সন্ত্রাস মুক্ত চাই।