নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরে মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চোর আখ্যা দিয়ে লিখন(৩৫)নামে ২ সন্তানের জনককে পিটিয়ে হত্যা এবং হৃদয় (২৭)ও জামাল(৩৩)নামে অপর দু’ যুবককে রক্তাক্ত জখম করেছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানার মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহতদের গুরুতর অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে নিহত লিখনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এদিকে এ ঘটনার ২ ঘন্টা অতিবাহিত না হতেই পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ খুনী যথাক্রমে সানি,টিটু ও সাদ্দামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। খুণীদের দ্রুত গ্রেফতার করায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী থানা পুলিশকে সাধূবাদ জানিয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকার আমানউল্লাহ মিয়ার ছেলে লিখনের সঙ্গে একই এলাকার সুরুজ্জামানের ছেলে সাদ্দামের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সাদ্দাম তার নিজ বাড়িতে লিখন ও তার দু’ বন্ধু হৃদয় ও জামাল এবং মাদক স¤্রাট সানি,টিটুসহ আরো কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে যায়। ওই ঘরে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতিতে রূপ নিলে এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী সানি,টিটু ও সাদ্দামসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা লিখনকে চোর আখ্যা দিয়ে গণপিটুনী দেয়। ওই মুহুর্তে হৃদয় ও জামাল লিখনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এদিকে সন্ত্রাসীদের গণপিটুনীতে লিখন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। এলাকাবাসী হৃদয় ও জামালের ডাক চিৎকারে ছুটে এলে অবস্থা বেগতিক বুঝে অন্যারা পালিয়ে গেলেও জনতা ঘটনার মূল হোতা সাদ্দামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এদিকে হত্যাকান্ডে ২ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার আগেই বন্দর থানা পুলিশ হত্যাকোন্ডের নায়ক সাদ্দামের ভাই সানি ও তার বন্ধু টিটুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান,লিখনকে চোর আখ্যা দিয়ে গণপিটুনী দিয়ে খুন করা হলেও কিছুটা মাদক সংক্রান্ত ঘটনার সূত্র পাওয়া গেছে। তবে বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।