বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফাঁসি কার্যকরা হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি আব্দুল মাজেদের লাশ নারায়ণগঞ্জের সোনারগায়ে দাফন করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় পুরো নারায়ণগঞ্জে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
করোনার প্রভাবে বেশীরভাগ মানুষ ঘরে থাকায় গোপনে শনিবার ভোরে খুনির পরিবার উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের সাতগ্রাম কবরস্থানে লাশ দাফন করেন। পরে সকালে এ খবর ছড়িয়ে পরলে কবস্থান এলাকায় মানুষ জরো হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের লাশ এই জেলায় রাখতে দেওয়া হবে না এবং লাশ এখান থেকে তুলে ফেলতে হবে বলে দাবি তুলেন উত্তেজিত জনতা। এছাড়া এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যার কারনে পুরো জেলায় চলছে উত্তেজনা।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, মাজেদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পর্ণ কেন্দ্রীয় ভাবে করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়নি। সকালে তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জানতে পেরে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। খোঁজ নিয়ে তিনি বলেন রাত তিনটায় মাজেদের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে এনে দাফন করে চলে যায়।
এ বিষয়ে সোনারগা থানার ওসি মো. মনির জানান, করোনা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে করতে আমরা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আমরা খবরটি সকালে জানতে পেরেছি খুনির লাশ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন গোপনে দাফন করে চলে গেছে। কবস্থান এলাকায় জনতা জরো হচ্ছে। সেখানে তারা বঙ্গবন্ধুর খুনির লাশ সোনারগায়ে রাখতে দেওয়া হবে না বলে দাবি তুলেন।
এদিকে শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।তার মরদেহ স্ত্রী সালেহা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খুনির নিজ জেলায় ভোলায় তার লাশ দাফন করতে আপত্তি তুলে ভোলাবাসী। পরে ফাঁসি কার্যকরের প্রায় তিন ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে তার শ্বশুর বাড়ি এলাকায় লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় কারাগারের ভেতর থেকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। ভোরে তাকে সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের সাতগ্রাম কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।