বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ও জেলা কৃষকদলের সভাপতি মতিন প্রধানকে নিয়ে ফের বিপাকে পড়েছে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা। এবার তিনি মেয়র প্রার্থীর ঘোষনা দিয়ে পুরো নির্বাচনের ছককে পাল্টে দিয়েছেন। এতে বিএনপির ও আওয়ামীলীগের মধ্যে আবারও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন তৃনমূল থেকে নাসিক মেয়র প্রার্থী সেখানে মতিন প্রধান মেয়র প্রার্থী ঘোষনা দেওয়া সৃষ্টি হয়েছে নতুন জটিলতা। নেতাকর্মীরা বলেছেন তাহলে কি ওসমান পরিবার থেকেই হচ্ছে মেয়র প্রার্থী। এতে করে আওয়ামী নেতাকর্মীদের সাথে শেষ পর্যন্ত বেঈমানি করছে মতি প্রধান।
এ ব্যাপারের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, পল্টিবাজ নেতারা কখনো ভালো হতে পারেনা। মতিন প্রধান সবসময় সরকারী দলের লোক হয়েছে। সারাজিবন আওয়ামীলীগ করে ২০০১ সালে বিএনপির হয়ে যায়। সাবেক এমপির গিয়াস উদ্দিনের কাছের লোক হয়ে কৌশলে সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক হয়ে। বর্তমান সরকার ক্ষতায় আশার পর সে নারায়নগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক এমপির কাউসার এর সাথে কৌশলে হাতাহাত করে প্রশাসকের দায়িত্বে বহাল থাকেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠন হওয়ার পর তিনি আবারও বিএনপির নেতা হয়ে যায়। তার পর জেলা কৃষক দলের সভাপতি হয়ে সরকার হঠাও আন্দোলন করনার অনেক প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দেন। হঠাৎকরে ২০১৪ সালের তিনি আওয়ামীলীগের বিভিন্ন মিটিংএ উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন। অনেক অনুষ্ঠানে তিনি জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন।
আওয়ামীলীগের একটি সূত্র জানায়, মতিন প্রধান নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান না হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি না হয় নাসিক প্যানেল মেয়র হওয়ার প্রস্তাব করেন তার এক নিকট আত্মীয় শীর্ষ নেতার কাছে। এখন আবার তিনি নাসিক মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ করছেন। তাহলে তিনি আওয়ামীলীগ থেকে না বিএনপির থেকে মেয়র প্রার্থী হবেন এনিয়ে বিপাকে পড়েছে উভয় দলের শীর্ষ নেতারা। তবে তিনি তার তার সাম্প্রতিক চলাচল ও রাজনীতি কার্যক্রম দেখিয়ে আওয়ামীলীগ থেকেই প্যানেল মেয়রের ঈঙ্গিত পাওয়ার পরই এখন বাধ সাজছেন মেয়র পদে নির্বাচণের জন্য।
এদিকে বিএনপির এক নেতা বলেন, যেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলার শীর্ষ নেতাকার্মীরা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা হয়। সেখানে প্রতিন প্রধান জেলা কৃষক দলের সভাপতি হওয়ার পরেও কোন মামলা হয় নাই। তাহলে সে কি করে বিএনপির থেকে মেয়র প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা করবেন। তিনি প্রকাশ্যে অলিখিত আওয়ামীলীগার হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন মতিন প্রধান জেলা কৃষক দলের সভাপতি ও উজ্জল হোসেন সাধারন সম্পাদক উজ্জলকে দেখা মাত্র পুলিশ গুলি করবে ও মতিন প্রধান থানার ওসি কক্ষে বলে মিটিং করে। এ ব্যক্তি কখনো বিএনপির থেকে মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন পাবেনা।
