বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের কিছু পত্রিকার মালিক রাজাকারের সন্তান বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের উদ্যোগে সদর-বন্দর উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটি গভীর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করা হচ্ছে। আমাদেরকে এখন থেকেই সজাগ থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জের কিছু পত্রিকার মালিক রাজাকারের সন্তান। তারা স্বাধীনতার শক্তিকে নিস্তেজ করে পাকিস্তানি শাসন কায়েম করতে চায়। আইজ্জা রাজাকারের ছেলে জহির এখন কেন্দ্রীয় খেলাঘরের নেতা। এই যদি হয় দেশের অবস্থা সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাড়াবে।
তিনি আরো বলেন, ৭১’রে নরপিশাচরা কত কিছ’ইনা করেছে। ভাইয়ের সামনে বোনের ইজ্জত কেড়ে নিয়েছে। বাবাকে বেধে রেখে মেয়েকে ধর্সণ করেছে আমাদের মা-বোনের ইজ্জত ছিন্ন ভিন্ন করেছে সেই রাজাকারের দল এদেশে ক্ষমতাও ভোগ করেছে ভাবতে পারেন এটাওকি সম্ভব। সম্ভব রাজাকার আলবদর আল সামশসরা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এদেশে এমন অবাক হওয়ার মতো ঘটনাই ঘটবে। স্বাধীনতার এসব ইতিহাস আপনাদের মুখ থেকেই শোনা। এমপি হিসেবে নয় আপনাদের সন্তান হিসেবে বলতে চাই কারন আমার বাবাও আপনাদের মতো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সুতরাং আপনারা আমার বাবার মতোই। আপনারাই বলেন, আমার বাবাকে কেউ সম্মান করুক আর না করুক কিন্তু সম্মান ছিনিয়ে নেয়ার অধিকার কি কারো আছে। শুনেছি নারায়ণগঞ্জের একটি স্টেডিয়াম নিয়ে আমার ছোটবোন আইভী নাকি বলেছে এই স্টেডিয়ামতো একেএম শামসুজ্জোহার নামে হওয়ার কোন প্রয়োজনীয়তা দেখছিনা। যেখানে এই স্টেডিয়ামের বরাদ্ধ আনলাম আমি সেখানে আবার বাবাকে নিয়ে এমন আপত্তি বিপত্তি। আমার বাবার নামে হোক বা না হোক তাকে হেয় করে কথা বলাটাকে আপনারা কি হিসেবে দেখছেন। ভুলে গেলে চলবেনা বঙ্গবন্ধুর ১১জন নিউক্লিয়াস ছিল তার মধ্যে আমার বাবাও ছিলেন একজন যেই ব্যাক্তিটিকে প্রধাণমন্ত্রী নিজে একুশে পদক দিয়েছেন। সংসদে দাড়িয়ে আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে আমাদের বাড়িতে অথচ সেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এমন মন্তব্য কি কারো বরদাশতঃ হতে পারে। আমাদের গায়ে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার রক্ত সুতরাং আমরাও কিন্তু ছাড় দেবোনা। আমরা নারায়ণগঞ্জকে রাজাকার এবং সন্ত্রাস মুক্ত চাই। ব্যাস এটাই শেষ কথা। পরিশেষে সাংসদ সেলিম ওসমানের মালিকানা ফাইভ ষ্টার ফার্ম হাউজের লভ্যাংশ থেকে সদর-বন্দর উপজেলার ২শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার ৫০ হাজার করের টাকার চেক তুলে দেন।