বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
২০১১ সালে এসিআই ঔষধ কারখানার শ্রমিক আন্দোলনে নিহত শহীদ এনামুল স্মরণে ২৩ জানুয়ারী সোমবার বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ শ্রমিক সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি অঞ্জন দাস, শ্রমিক নেতা হুমায়ুন কবির, সেলিম মাহমুদ, ইকবাল হোসেন, আবুল বাশার, এইচ রবিউল চৌধুরী ও মমিন হোসেন।
শ্রমিক সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এসিআই ঔষধ কারখানার শ্রমিকদের ৬ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারী পুলিশের গুলিতে শহীদ হন শ্রমিক এনামুল হক। এরপর মিথ্যা মামলা দিয়ে আন্দোলনকারী নেতাদের বিরুদ্ধে জেল, জুলুম, হামলা ও নানাবিধ নির্যাতন চালানো হয়। বেশিরভাগ নেতাদের চাকুরীচ্যুত করা হয়। গুন্ডা লেলিয়ে কাউকে কাউকে এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এলাকার কিছু প্রভাবশালী অসাধু ব্যক্তিকে টাকা ও ব্যবসার লোভ দেখিয়ে সামাজিক মীমাংসার নামে মালিক পক্ষ তাদের শ্রমিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজে লাগায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে তারা একইভাবে হাত করে ফেলে। এনামুলের জীবনের বিনিময়ে শ্রমিকদের আংশিক মজুরী বৃদ্ধি হলেও ৬দফার সেই আন্দোলন আজও পরিপূর্ণভাবে সফল হয়নি। সে সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবীসহ এনামুল হত্যার বিচার চেয়েছিলাম।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজকেও সারাদেশে শ্রমিকদের উপর দমনপীড়ন চলছে। আশুলিয়ায় শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত শ্রমিক নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সরকারী কর্মচারীদের যে হারে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে সেই হারে সকল শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। শ্রম আইন, বিধিমালা, প্রস্তাবিত ইপিজেড আইনের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী সকল ধারা বাতিল করতে হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে হকারদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।