বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারসহ ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা রিটার্নিং কর্মকর্তা৷ সোমবার দুপুরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যলয়ের সামনে আয়োজিত নির্বাচন কমিশনের যাছাই বাছাই অনুষ্ঠানে এ মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে ২ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মোঃ রাশেল ফেরদৌসের, খেলাফত মজলিসের প্রার্থী এবিএম সিরাজুল মামুন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দিনের প্রার্থীতা যাচাইয়ে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রার্থীদের দেয়া সকল তথ্য যাচাই করার পর সেগুলো সঠিক পেয়ে সিটি করপোরেশন, পুলিশ প্রশাসন, ব্যাংক বিভাগ, আয়কর বিভাগের উপস্থিত প্রতিনিধিদের অনাপত্তি প্রদান সাপেক্ষে প্রার্থীদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির তথ্যে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণ খেলাপি অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম ও দাখিলকৃত ভোটার তালিকায় গরমিল পাওয়া অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সুলতান মাহমুদ প্রার্থীতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, মেয়র পদে ৬ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুজনের প্রার্থীতায় ভুল তথ্য প্রদান ও ঋণ খেলাপি থাকায় বাতিল করা হয়। তাছাড়া ১৬৬ জন সাধারণ কাউন্সিল পদের প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করেছেন । পাশাপাশি এখনো অনেকের বিষয়ে যাচাই বাছাই চলছে ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল প্রার্থীরাও এ প্রক্রিয়ার অংশে রয়েছে। যারা বৈধ হননি তারা চাইলে আপিল করতে পারবেন।
প্রার্থীদের উদ্দেশে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান, অনেকের দেখা যায় প্রতীকের দিন মিছিল করে এখানে আসেন এটি ঠিক নয় কারণ ২৭ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ। ২৮ তারিখ থেকে প্রচারণা করা যাবে। এর ব্যত্যয় হলে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, পোস্টার ব্যানারসহ নানা আচরণবিধি ভঙ্গের সংবাদ গণমাধ্যমে আসছে। এমন খবরের সত্যতা পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামী ১৬ জানুয়ারী ইভিএম প্রদ্ধিতিতে ২৭ টি ওয়ার্ডে ভোট অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর পাশ্ববর্তী এই সিটিতে। ২৭ টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন। এরমধ্যে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৯ জন পুরুষ ভোটার ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ জন নারী ভোটার রয়েছে। তাছাড়া চারজন ট্রান্স জেন্ডার রয়েছে।