বিশেষ প্রতিনিধি,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি’র ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আজিজুল হক আজিজবলেছেন, আমি তেত্রিশ বছর ধরে জাতীয় পার্টি’র রাজনীতি করি। জাতীয় পার্টি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত এমপি আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের কর্মী হিসেবে আমি এই জাতীয় পার্টি’র সাথে তেত্রিশ বছর ধরে সম্পৃক্ত। সেই হিসেবে লাঙ্গল মার্কা আমার হক, আমার পাওয়ার কথা ছিল। যাই হোক আমি লাঙ্গল চাই নাই, আমারে লাঙ্গল সাধে নাই, আমি লাঙ্গল নেইও নাই। নির্বাচনে প্রতীক লাগে, কিন্তু নির্বাচন পরে আমি আজিজুল ভাই আজিজুল ভাইই থাকব। আমি লাঙ্গল নিয়া নির্বাচন করলে হতাম জাতীয় পার্টি’র চেয়ারম্যান। কিন্তু তা আমি চাই নাই। আমি চাই কলাগাছিয়াবাসী সকলের চেয়ারম্যান হব। সর্বদলীয় চেয়ারম্যান হব। আমি কলাগাছিয়ার প্রতিটি নাগরিকের সেবক তথা খেদমতদার হতে চাই।গতকাল রোববার বিকেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলীনগর এলাকায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় এলাকার ভোটার সাধারণের আয়োজিত এ উঠান বৈঠকে উপস্থিত মহিলা-পুরুষ জনতার উদ্দেশ্যে নেতা আজিজুল হক আরও বলেন, লাঙ্গল’প্রতীক যাকে দিয়েছে সে কোনদিন জাতীয় পার্টি করে নাই। জাতীয় পার্টিকে সে যাত্রা পার্টি বলতো।সে সাবেক চেয়ারম্যান। তার অনেক গুনকীর্তন আপনারা সবাই জানেন। আমি তার দূর্ণাম বদনাম বলতে চাইনা। তারপরেও না বললে আবার জানবেন না। যেমন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের প্রত্যেকটা এলাকায় রাস্তা-ঘাটগুলির এমন দূরবস্থা, মনে হয় আমরা যেন শহর থেকে দুই’শ মাইল দূরে বসবাস করি। একেবারে দূর্গম এলাকায়। রাস্তা-ঘাটের এমনবেহাল দশা। সে এই পাঁচ বছর চেয়ারম্যান ছিল, চেয়ারম্যান হয়েতার দায়িত্ব কর্তব্য কি ছিল?উনি যেখানে জমিজমা কিনছেন, ঐ জায়গা ভরাট করছে, ঐখানে প্লট করে জায়গা বিক্রি করবে, ইউনিয়নের সরকারি ফান্ড দিয়া উনার যেই জায়গা বিক্রি করলে ব্যবসা হবে ঐ জায়গায় উনি রাস্তা করছে। অর্থাৎ উনি চেয়ারম্যান হলেন সমগ্র কলাগাছিয়াবাসী’র ভোটে আর রাস্তা করলেন তার নিজের ব্যবসার জন্য।আমার জিজ্ঞাসা, আল্লায় উনারে কত টাকা দিলে উনার আত্মা তৃপ্ত হবে?আবার এও শুনি অনেকের জায়গা জবরদস্তি করে, অনেক অসহায় নিরীহ মানুষের সম্পদ জবরদখল করে ভরাট করে ফেলেছে, পরে দশ শতাংশ জায়গা থাকলে চার শতাংশের দাম দিলে বাকি ছয় শতাংশের নিজে মালিক। এভাবে অনেক কিছু করছে। আর তার অতীত কর্মকান্ডের ইতিহাস কমবেশী আপনারা জানেন।
কলাগাছিয়ার আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে নৌকা মার্কা প্রতীক যে নিছে সে জীবনে কোনদিন আওয়ামীলীগেররাজনীতি করে নাই।লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়া নৌকা মার্কা আনছে। একটা চোরের হাতে যদি মুরগী বন্ধক রাখে,ঐ মুরগীটাকি আনাম থাকবো? কানার হাতে রতœ দিলে ভাল-মন্দ বোঝেনা। এখন কানাদের হাতে লাঙ্গল আর নৌকা তুলে দিয়েছে, এখন আপনারা কি করবেন? মার্কা দেখবেন, দল দেখবেন, না মানুষ দেখবেন? ডবএনপি থেকে একজন, আওয়ামীলীগ থেকে একজন এবং জাতীয় পার্টি থেকে একজন দাঁড়াইছে। আর আমি দাড়াইছি নিরপেক্ষ। আমি লাঙ্গল চাইলে আমাকে দিত।কিন্তু আমি চাই নাই। আমি সমগ্র জনগনের ভোট চাই আমি, সমর্থন চাই,সহযোগীতা চাই, দোয়া চাই। আমি চেয়ারম্যান হইলে জাতীয় পার্টি’র আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান না, আমি চেয়ারম্যান কলাগাছিয়া ইউনিয়নবাসী’র।সকল জনগনের। সেই জন্য আমি দলীয়ভাবে প্রতীক নিয়া নির্বাচন করতে চাই নাই।
এ সময় এই উঠান বৈঠকে উল্লেখযোগ্য যারা উপস্থিত ছিলেন, ফায়েজ আহম্মেদ, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ আসলাম,রফিকুল ইসলাম রফিক, মুকুল, সাদেক, বকুল, হেলাল, পনির, কালাম, বাচ্চু, আছিয়া ও ডাঃ বকুল পারভেজ প্রমূখ।