স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ে একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মানুষের মুখ থেকে সরাতে আসলাম চৌধুরীর নাটক সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া এগারটার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি এখন মানুষের মুখে মুখে। এঘটণা ধামাচাপা দিতে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশ ভ্র্যাততম বন্ধুদেশ। আর আওয়ামী লীগের সাখে ভারতের নিবির সর্ম্পক রয়েছে। বিনা ভোটে নির্বাচিত বর্তমান শাসকদলকে তারা সমর্থন দিয়ে আসছে। সেখানে গিয়ে আসলাম চৌধুরী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়ডন্ত্র করবে এটা হাস্যকর।
তিনি বলেন, সরকারের পতন শেষ প্রান্তে পৌছেছে। সেখান থেকে উত্তোরণে ভিন্ন কৌশলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই এখন তারা ইসরাইল, ইসরাইল বলে বেড়াচ্ছে। ভারতে বসে যদি বিএনপির কোনো নেতা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে গোপন বৈঠক করে থাকেন তাহলে তো ঘন্টায় ঘন্টায় তাদের সেই ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করা হতো না।যা ইতিহাসের একটা বিরল ঘটনা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০১৪ সালের জুন মাসে ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংদেশের রাষ্ট্রদূত জন গমেজ রাষ্ট্রীয় পতাকার নিচে বসে যদি ইসলাইলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ডিনার করেছিলো তাতে এটাই কি প্রমাণ করেনা আওয়ামী লীগেই মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে। সেখানে একজন ব্যবসায়ী তার ব্যবসায়ীক আমন্ত্রণে ইসরাইলের লোকের সঙ্গে কথা বলাটা কি করে ষড়যন্ত্র বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে রিজভী আহমেদ বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী নির্বাচনী কৌশলই হচ্ছে-ভোটচুরি ও ভোটলুটের জন্য সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে তোলা। চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো নিয়ে ভোটারবিহীন সরকারের অশুভ ইচ্ছার ষোলকলা পূর্ণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের অনুগ্রহজীবী ভূমিকার কারনেই প্রতি ধাপের নির্বাচন পূর্বের ধাপগুলোর চেয়ে নির্বাচনী সন্ত্রাস তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গতকাল বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কয়েকটি বানোয়াট মিথ্যা মামলায় জামিন নিতে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সরকারের ঘৃণ্য চক্রান্তেই ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার মতো একজন খ্যাতিমান আইনজীবীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন অনাচার আর অপকীর্তির বিরুদ্ধে কথা বলার কারনেই ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া রোষানলে পড়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে অসংখ্য মিথ্যা মামলা, যা সম্পূণরুপে চক্রান্তমূলক।
তিনি আরো বলেন, দেশের কোন মানুষই বিশ্বাস করেনা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার মতো একজন প্রবীণ আইনজীবী নাশকতামূলক কোন কর্মকান্ডে জড়িত হতে পারেন। আমরা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় কারাগারের প্রেরণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবী করছি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ১৫ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা করে । এ সময়ে পটুয়াখালী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ সদর ও নান্দাইল, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বরিশাল, খুলনা সদরে পুলিশ বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিলে আক্রমন চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে আহত ও গ্রেফতার করে কর্মসূচি পন্ড করার অপচেষ্টা চালানো হয়।
খুলনায় কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের বাসভবনের সামনে দুস্কৃতিকারিদের কর্তৃক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি’র ওপর দায় চাপিয়ে ৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং সারা শহরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীতে বাড়ীতে হানা দিয়ে এক ভয়াল পরিস্থিতি তৈরী করে নেতাকর্মীশুণ্য করা হয়েছে বলে ও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমূখ।