বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অপহরণ ও হত্যা মামলার জেল পলাতক আসামি কর্তৃক অটোরিক্সা ছিনতাই, চালককে খুন করে নদীতে লাশ গুম ও ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশ। এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা, চেতনা নাশক ও অটোরিক্সা বিক্রির নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- লিয়ন (৩২), মো. বোরহান ওরফে ইমরান ওরফে সোহেল ওরফে পিচ্ছি (২১), মো. শাওন বেপারী (২২), মোসাঃ পারভীন বেগম (২২), শাহীন মোল্লা (৩০), মোহাম্মদ আলী (৫৫) ও মো. আল আমিন সর্দার (৩৮)।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কাঁচপুর নৌ-পুলিশ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন, বিপিএম সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, গত ১৬ জানুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো ঘাট সংলগ্ন বিশ্ব খাদ্য গুদামের পূর্ব পার্শ্বে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক পুরুষের মরদেহ পাওয়া যায়। মিডিয়ার মাধ্যমে মরদেহটির পরিচয় সনাক্ত হওয়ার পর ভিকটিমের পরিবার গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।
এরই প্রেক্ষিতে আমাদের স্পেশাল টিম এই হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের জন্য বিশেষ তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত এবং অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের সাতজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইকৃত একটি অটোরিক্সা, মৃতের ব্যবহৃত একটি আইটেল মোবাইল ফোন, চালককে অজ্ঞান করার কাজে ব্যবহৃত চেতনা নাশক ঔষধ এবং একটি অটোরিক্সা বিক্রির নগদ পঁচিশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
নৌ পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে অটোরিক্সা চালককে চেতনানাশক ঔষধ সেবন করিয়ে হত্যা করার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়াসহ অটোরিক্সা ছিনতায়ের সাথে সরাসরি জড়িত। আমাদের এ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।