বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, মন্ত্রী বলেন, আজকে প্রতি স্কুলেই আমাদের সরকার ভবন করে দিয়েছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই বই দিচ্ছে। এ বছর বিনা পয়সায় ৪২ কোটি বই দিয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশ এত বই বিনামূল্যে দেয় নাই।
শেখ হাসিনা সরকার বিনা পয়সায় এ বছরও ৪২ কোটি বই বিতরণ করছে। পৃথিবীর কোন দেশ এত বই দিতে পারেনি। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, অন্য কোন দেশ যদি এত বই বিতরণ করেছে দেখাতে পারবে না।
বুধবার (২২ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের বন্দরের একটি বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায়, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ তার পথ হারিয়ে ফেলেছিলো। ভবিষ্যতে যেন আর সেই পথ না হারায় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা যা পাড়ি নাই, তোমরা তা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, আজকে তোমরা যে লেখা পড়া করছো, তার বেশির ভাগ ব্যয় বহন করছে রাষ্ট্র। তাই রাস্ট্রকেও তোমাদের কিছু দেওয়ার আছে। ভালো করে লেখা পড়া করে দেশ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজে লাগবে। তাই তোমাদেরও দায়িত্ব আছে। রাস্ট্র আমাদের কি দিলো, সেটা না দেখে আমি রাষ্ট্রকে কি দিলাম সেটাই দেখার বিষয়। আমি জন্মের পর দেশটাকে যে ভাবে দেখেছি, মৃত্যুর পর তার চেয়েও উন্নত করে রেখে যেতে পারি সেই দোয়াই করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ২২০টি গ্রামে কোন গৃহহীন লোক নেই। আমরা সরকারি জায়গায় ভূমিহীনদের মাঝে ইতোমধ্যে ৯ লাখ ঘর দিয়েছি, যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নাই। তাদের বাড়ি ঘর করে দেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছেন কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না, বঙ্গবন্ধু সংবিধানে লিখে গেছেন। শিক্ষা প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার, বিনা পয়সায় শিক্ষালাভের সুযোগ থাকবে। সেই ব্যবস্থা তার কণ্যা শেখ হাসিনা করে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য সেবা গ্রামেও নিশ্চিত করা হচ্ছে। কোন মানুষ যাতে না খেয়ে মারা না যায়, সেই জন্য সরকার বিজিএ, বিজিবিসহ বয়স্ক ভাতা বিধবা বাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দিয়ে যাচ্ছে। যাতে মানুষ যেন খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে।
এসময় আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোসাঃ ইসমত আরা,উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম. কুদরত-এ-খুদা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান প্রমুখ।