স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের কল্যান্দী এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে এবার হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সালাউদ্দিনের ঘোড়া নামের একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে এই হত্যার হুমকি দেয়া হয়। পোস্টে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে হত্যার বিভিন্ন কৌশলও উল্লেখ করা হয়েছে।
লাঞ্ছনার শিকার ওই শিক্ষক এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফেইসবুকে ওই পোস্ট দেয়ার পর থেকে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, শ্যামল কান্তি ভক্তের নিরাপত্তায় ঢামেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সালাউদ্দিনের ঘোড়া নামের ওই পেইজ থেকে কারা তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, শ্যামল কান্তির নিরাপত্তায় ঢামেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ডাক্তার নার্সদের শনাক্ত করে ভেতরে পাঠানো হচ্ছে। অপরিচিতদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
শুক্রবার ঢামেকে আসার পর শ্যামল কান্তি ভক্ত সাংবাদিকদের বলেন, যে কোনো সময় আমার ওপর হামলা হতে পারে। সেভেন মার্ডারের মতো কিছু হতে পারে। নারায়ণগঞ্জে ভীষণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। প্রশাসন বাধ্য হয়ে হোক বা যেভাবেই হোক, হয়তো বুঝতে পেরেছেন একটা সমস্যা হয়ে যেতে পারে, এজন্য ঢাকাতে ট্রান্সফার করেছেন। এটাতো আপনারা বুঝতেই পারেন। ঢাকায় এসে একটু স্বস্তি লাগছে।’
এর আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শ্যামল কান্তি। সেখানে তাকে হাসপাতালের ৩ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছিল।
১৩ মে সকালে কল্যান্দী এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের একটি মসজিদের মাইকে রটিয়ে দেয়া হয় যে, ছাত্রকে মারধরের সময় প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তি করেছেন।
এ ঘোষণার পর দলে দলে এলাকাবাসী সেখানে জড়ো হয়ে শ্যামল কান্তি ভক্তকে মারধর করেন। পরে জাতীয় পার্টির এমপি একেএম সেলিম ওসমান সেখানে এসে পুলিশের উপস্থিতিতেই তাকে কান ধরে ওঠবস করান। এ ঘটনায় সারাদেশে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় অব্যাহত রয়েছে।