রাণীনগর,নওগাঁ,বিজয় বার্তা ২৪
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা কাম্পাসে অবস্থিত একমাত্র শিশুপার্কের দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার ও বিনোদনের সরঞ্চামাদি সংযুক্ত না করায় পার্কটি এখন বেহালদশায় পরিনিত হয়েছে। উপজেলা সদরে কর্মরত অফিসার ও কর্মচারীদের সন্তানদের চিত্রবিনোদনের কথা মাথায় রেখে শিশুদের প্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে সাবেক এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা পরিষদের প্রায় ১বিঘা জমিতে শিশুপার্কটি নির্মাণ করা হয়।
জানা গেছে, ১৯৮৫সালে উপজেলা পরিষদ প্রবর্তনের সাথে পর্যায়ক্রমে সারা দেশের মত ৮৬ সালে রাণীনগর উপজেলা সদরে বালুভরা মৌজায় ১১.৬৮ একর জমির উপর প্রশাসনিক দপ্তর, আবাসিক ভবন, মসজিদ ও শিশুদের চিত্রবিনোদনের জন্য পার্ক সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সময়ের বিবর্তনে ভবন গুলো কয়েক দফা সংস্কার মেরামত ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হলেও শিশুপার্কটির উপরে উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের তিন দশক ধরে কোন সুনজর না পড়ায় প্রকল্প আসে প্রকল্প যায় এনিয়ে যেন কারও মাথা ব্যথা নেই। দীর্ঘ সময় ধরে অবহেলা অযন্তে পড়ে থাকায় শিশুদের চিত্রবিনোদনের একমাত্র পার্কটি দিনদিন তার সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। ফলে উম্মুক্ত বিনোদন থেকে এখানকার শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত রয়েছে। ইতিমধ্যেই শিশুদের যতটুকু খেলনা সামগ্রী পার্কে ছিল তার মধ্যে থেকে আবার রাতের অন্ধকারে স্লিপার সহ বেশকিছু খেলার সামগ্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে মাঝে মধ্যেই এখানে মাদক সেবীদের আনা-গুনা দেখা যায়। পার্কের ভিতরে জায়গা পড়ে থাকার কারণে উপজেলা পরিষদের এক শ্রেণীর কর্মচারীরা নানান জাতের শাক-সবজির গাছ-পালা রোপণ করে ভোগদখল করছে। পার্কটি যেন দিনদিন সুষ্ঠ নজরদারীর অভাবে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ছে। খোলা-মেলা, খেলার জায়গা শিশুরা না পাওয়ায় বিশেষ করে কাম্পাসে অবস্থানরত প্রায় ১৪টি পরিবার সহ আশ-পাশের ছেলে-মেয়েরা ঘড়ে বসেই গেম খেলার জন্য কম্পিউটার মুখী হয়ে পড়ছে। অনেক অফিসার কিছুটা বাধ্য হয়েই পড়া-লেখা, খেলা-ধূলার মানসম্পূর্ণ পরিবেশের জন্য জেলা সদর নওগাঁতে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছে।
এব্যাপারে রাণীনগর বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তিতুমীর রহমান জানান, পার্কটি একইবারে আমার অফিসের সামনে অবস্থিত। আমরা যারা পরিষদের কাম্পাসে অবস্থান করি তাদের সবার ছেলে-মেয়েই এই পার্কেই খেলা-ধূলার জন্য আসে। কিন্তু আধুনিকতার এই যুগে বিনোদনের জন্য পর্যাপ্ত অত্যাধুনিক সরঞ্চাম না থাকায় বাচ্চারাও আর আসতে চাইনা। কিছু খেলনা সামগ্রী সংযুক্তর জন্য চেষ্টা করলেও অর্থ অভাবে তা বেশি দূর এগোনো যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া বিনতে তাবিব জানান, শিশুদেরকে পড়া-লেখার পাশা-পাশি বিনোদন মুখী করার লক্ষ্যে উপজেলা কাম্পাসে অবস্থিত শিশুপার্কটি পরিস্কার পরিচ্ছিন্ন কাজ শুরু হয়েছে। শিশুদের খেলা-ধূলা ও অন্যান্য বিনোদনে আকৃষ্ট করার জন্য মানসম্পূর্ণ খেলার সামগ্রী পূনঃস্থাপনের জন্য খুব তারাতারি আমরা প্রকল্প হাতে নিয়ে এর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করব।#