বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আমার বড় মেয়ে খাদিজা ইয়াসমিন আশা, বয়স- ২৫, গত ২০১৫ সালে মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে পিজি হাসপাতাল, ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা ডেল্টা হাসপাতাল লিঃÑএ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর স্মরণাপন্ন হলে চিকিৎসার প্রাথমিক পর্বে ডাক্তারের পরামর্শে অস্ত্রোপচার করে ডান পাশের ১টি স্তন কেটে ফেলা হয়। দীর্ঘ আরোগ্যের জন্য ২১ দিন পর পর ৮টি কেমোথেরাপী দেওয়ার পর ২৫ দিন পর রেডিও থেরাপী দেওয়ার জন্য ডাক্তারের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়ার পর এ পর্যন্ত আমার মেয়ের চিকিৎসার্থে প্রায় ২৭Ñ২৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত আমি আমার তাঁর নিজ উৎস ও আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে এ ব্যয় নির্বাহ করছি। ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে আমার মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে ডাক্তার রীনা নায়ের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয় যেখানে ডাঃ রীনা নায়ের ছাড়াও ডাঃ সঞ্জীব কুমার আগরওয়াল, ডাঃ পূজা আগরওয়াল ও ডাঃ রোজিনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ডাক্তারের নির্দেশ মতে আগামী ১লা এপ্রিল আবার পুনরায় আমাকে ডাক্তার দেখাতে টাটা মেডিকেল সেন্টারে CT THORAX AND WHOLE ABDOMEN BONE SCAN, UCG BREAST & BLOOD BORNE VIRUS SCREEN TEST wU Kiv‡bvi Rb¨ †h‡Z n‡e| eZ©gv‡b Avgvi †g‡qi BLOOD, BONE SCAN, CT SCAN টি করানোর জন্য যেতে হবে। বর্তমানে আমার মেয়ের ইখঙঙউ, ইঙঘঊ ঝঈঅঘ, ঈঞ ঝঈঅঘ গত ১২ই এপ্রিল পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় কোমর থেকে নি¤œাংশ সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে গিয়েছে। তাকে ডাঃ জয়দীপ ঘোষ (টাটা মেডিকেল সেন্টার) লেঃ কর্ণেল ডাঃ এসএম রোকনুজ্জামান (এমবিবিএস, এফসিপিএস (রেডিয়েশণ অন্কোলজি) ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ (অন্কোলজিস্ট) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সি.এম.এইচ), ঢাকা, ফেলোশীপ ট্রেনিং ইন অন্কোলজি, টাটা মেডিকেল সেন্টার, ভারত) তার কাছে রেফার্ড করে। তার নির্দেশ মোতাবেক মেয়েকে এম.আর.আই, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এক্সরে করা হয়। এম.আর.আই রির্পোটে মেয়ের ২টি পা সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ডাক্তার লেঃ কর্ণেল ডাঃ এসএম রোকনুজ্জামান উক্ত রিপোর্ট দেখে ৫+৫+৫= ১৫টি রেডিওথেরাপি দেওয়ার জন্য আগামী ২৯/০৪/২০১৯ইং ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশানÑ ২, ঢাকা পরামর্শ প্রদান করেন। বর্তমানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ২ জন ডাঃ এর তত্ত্বাবধানে ১৫টি রেডিওথেরাপি দেওয়া সম্পূর্ণ হয়েছে গত ১৮/০৫/২০১৯ তারিখে। আগামী ৪ জুলাই আরোও ১৫টি রেডিওথেরাপি ও ৩টি পরীক্ষা ফি সহ দিতে ২,২২,০০০/- টাকার প্রয়োজন। পাশাপাশি আরোও ৬টি কেমোথেরাপি ১ সপ্তাহ পর পর দিতে হবে, যাহার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকার অধিক। বর্তমানে টাকার অভাবে রেডিওথেরাপি দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমান তার অবস্থা খুবই আশংকাজনক। ডাক্তার আগামী ০৪/০৭/২০১৯ইং জরুরী ভিত্তিতে রেডিওথেরাপি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় তার দুটি পা সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে যাবে। ইতিপূর্বে পিজি হাসপাতাল, ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা ডেল্টা হাসপাতাল লিঃ, টাটা মেডিকেল সেন্টারে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ৩২,০০,০০০/- (বত্রিশ লক্ষ) টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
আমার মেয়ের এই ব্যয়বহুল চিকিৎসায় দয়া করে আপনার/ আপনাদের আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো এবং আশা করি আপনার সহৃদয় সহযোগিতায় আরো অন্য দশজন মেয়ের মত সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে পুনরায় লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে। অনুদানের (টাকা) খাদিজা ইয়াসমিন ব্যাংক হিসাব নংÑ ১১৫০১২১২৭৮৫১২৩৮, আমার ব্যাংক হিসাব নং ০১৫০১২১০০০০১৪৮১, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ, নারায়ণগঞ্জ শাখা। বিকাশ নংÑ ০১৭৭৭৫৮৫৯২৮