বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
রূপগঞ্জে অনুমোদনহীন তিনটি খাদ্য প্রস্তুতকারী কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল। এ সময় মানহীন, ভেজাল খাদ্য প্রস্তুতের অপরাধে একটি কারখানাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও অন্য দুইটিকে সিলগালা করে দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া ছয়জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রূপগঞ্জের পেনাবো ও মুড়াপাড়া বানিয়াদি এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলিতে র্যাব সদর দপ্ততরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজামউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। র্যাব-১১ এর সিপিএসসি কোম্পানির অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিবসহ র্যাবের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালিত হয় ।
অভিযানে হাসান ফুড প্রোডাক্ট নামে অনুমোদনহীন একটি কারখানায় বিএসটিআইয়ের ভুয়া লোগো লাগিয়ে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য তৈরির অপরাধে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া এস আলম কনজ্যুমারস প্রোডাক্ট ও এসএস এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস নামে দু’টি কারখানাকে ভেজাল খাদ্য প্রস্তুতের অপরাধে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেনÑ মোরসালিন (১৭), ফারুক হোসেন (২০), রিপন (২০) রাকিবুল ইসলাম (১৯), সাজেদুল ইসলাম (১৯) ও ইমন (১৮)।
তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, মানহীন ও ভেজাল খাদ্য দ্রব্য প্রস্তুতকারী তিনটি কারখানাতে অভিযান চালানো হয়েছে। হাসান ফুড প্রোডাক্ট নামক কারখানাটিতে বিএসটিআইয়ের নকল লোগো লাগিয়ে অবৈধভাবে মায়া লিচি ড্রিংক, প্রাণ লিচি ড্রিংক, ট্রপিকো লিচি ড্রিংক, টনি ম্যাংগো ফ্লেভার ড্রিংক, গ্রীন কুকিজ বিক্সিট, সান লিচি ড্রিংকসহ বিভিন্ন প্রোডাক্ট উৎপাদন করা হতো। এর মধ্যে গ্রীন কুকিজ বিক্সিট, সান লিচি ড্রিংক এসিআই কোম্পানিকে সরবরাহ করা হতো। এছাড়া এস আলম কনজ্যুমারস প্রোডাক্ট নামক কারখানাটিতে ভেজাল ফ্রুটিকা জুস তৈরি করা হতো এবং এসএস এগ্রো ফুড প্রোডাক্টস কারখানাটিতে মানহীন টমেটো সস, সরিষার তেল তৈরি করা হতো। মানহীন প্রোডাক্টগুলোতে যে কোডগুলো ব্যবহার করা হতো তাও বৈধ নয়। অভিযান পরিচালনাকালে কোন প্রডাক্টেরই আইনগত কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
উক্ত কারখানাগুলোর মালিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।