বিজয় বার্তা২৪ ডটকমঃ
বৃষ্টিতে পণ্ড হলো বাংলাদেশ – আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ। ডাবলিনের ম্যালাহাইড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে, স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৫৭ রান তোলার পর বৃষ্টি নামলে এরপর আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। আগামী বুধবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।কেউই জিতলো না। বেরসিক বৃষ্টির শুরু থেকেই জ্বলিয়েছে। তাই খেলা শুরু হয়েছিলো নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট পর। ডাবলিনের উইকেটে যেন সবুজের সমারহ। তাই টস জিতে অতিথি বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই পিটার চেসের উঠতি বাউন্সে বুঝে উঠতে পারেন নি ওপেনার সৌম্য সরকার। তাই আউট হয়েছেন এভাবে।প্রস্তুতি ম্যাচে দাপুটে সেঞ্চুরি হাঁকানো সাব্বিরের ওপর প্রত্যাশা ছিলো। কিন্তু, বিপরিত কন্ডিশন আর চ্যালেঞ্জিং উইকেটে এক রকম আত্বহুতি দিলেন সাব্বির তা ভেবেছিলো কে?
কিছুটা চাপে বাংলাদেশ। উইকেটে এলেন ডিপেনডেবল মুশফিক। বুঝেশুনে দক্ষতার সাথেই খেলছিলেন। বলটা ছেড়ে দিলেও, পারতেন মুশফিক। কিন্তু, টিম মুরটাগের বল চুম্বুন দিলো মুশি ব্যাটে। তাই টেস্ট অধিনায়কে ফিরতে হলো ১৩ রানে।
মাশরাফির নিষেধাজ্ঞায় ভবিষ্যত অধিনায়ক সাকিব হাল ধারার চেস্টা করেছেন আক্রমণাত্তা ঢংয়ে। কিন্তু, খেপাটে ব্যাটিং স্বত্তা জেগে উঠায় ১৪ রান করে ফিরতে হলো সাজঘরে। দলীয় ৭০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ আবারো পড়লো দারুন চাপে।
তবে, বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাটেই সবার্ধিক রানের মালিক দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। সতীর্থদের ব্যর্থতার মিছিল চেয়ে চেয়ে দেখেছেন আর তাদের শিখিয়েছেন। ভিন্ন কন্ডিশন আর এমন উইকেটে কিভাবে রান তুলতে হয়।
তামিমের সাথে আইরিশ বোলাদের সুখে হানা দেন মাহমুদুল্লাহও। বরাবরই আগ্রসী ব্যাটিং করা তামিম স্বাভাব বিরোধী ব্যাটিং করে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩৫তম ফিফটি।
এরপর হাতখুলে খেলতে থাকেন তামিম-মাহমুদুল্লাহ। চাপ উল্টোচেপে বসে আয়রল্যান্ডের ওপর। কিন্তু, ঐ নাছরবান্দা বৃষ্টি আবারো ডাবলিনের আকাশ ভেঙ্গে আসে। তামিম-মাহমুদুল্লাহ মিলে গড়েন ৮৭ রানের জুটি। প্রায় চার ঘন্টা পর ম্যাচ রেফরি খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। আর তাতেই আফসোস থেকে যায় টাইগার সমর্থকদের। তবে, একটু আড়ালে হয় তো স্পিড স্টার তাসকিন আর রুবেল বেশি আফসোস করছেন। কারণ আয়ারল্যান্ডের অখ্যাত পেসাররা বল করে যে সুবিধা পেয়েছেন। সেখানে তাসকিন-রুবেলরা হয়তো তাদের পেস আগুণে আইরিশদের পুড়িয়ে ছাড়তেন।