নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরের রূপালী গেইট এলাকায় নববধূ সাদিয়া হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। রবিবার বিকাল ৪টায় এলাকার প্রধাণ সড়কের সামনে শত শত নারী-পুরুষ ও আবাল বৃদ্ধ বণিতা ওই মিছিল ও মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ সময় তারা সাদিয়ার হত্যাকারী সফিক ওরফে কাইল্লা সফিক,কাইল্লা আরিফ,কাইল্লা শরীফ,কাইল্লা জামিল,ঝিনুক ও রিতার ফাঁসির দাবিতে নানা শ্লোগাণে মুখরিত করে তোলে। প্রতিবাদকারীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানার প্রধাণ প্রধাণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে নিহত সাদিয়ার পিতা-মাতা তার মেয়ের হত্যাকারীদের অনতিবিলম্ভে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সূত্র মতে,বন্দর সালেহনগর এলাকার সোবহান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মনির হোসেনের কিশোরী মেয়ে সাদিয়াকে বিগত ৩মাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী রূপালী গেইট এলাকার মৃত আক্তার হোসেন ওরফে কাইল্লা মিয়ার ছেলে সফিক ওরফে কানা সফিকের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে দেয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের বিষয়টি চিন্তা করে তারা জামাতার দাবি অনুযায়ী ৭৫ হাজার টাকা যৌতুক প্রদান করে। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার স্বামী সফিককে আরো ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। তাতেও তারা সন্তোষ্ট না হওয়ায় গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য ফের চাপ দেয়। সাদিয়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাষন্ড স্বামী রফিক,তার মা শাহানাজ ওরফে ঝিনুক বেগম,ভাই আরিফ,রফিক এবং রফিকের স্ত্রী শাহানাজ ওরফে রিতা মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় সাদিয়াকে বেদম মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সাদিয়ার স্বামী সফিক নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে নিহত সাদিয়া স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে যায়। পুলিশ নিহতের মরদের উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ব্যাপারে সাদিয়ার পিতা পিতা মনির হোসেন বাদী হয়ে সাদিয়ার স্বামী,শাশুড়ী,২ দেবর ও জা’কে আসামী করে বুধবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী)০৩এর ১১(ক)/৩৪ ধারায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগেও ভয়ংকর এই কাইল্লা পরিবারের উচ্ছেদের দাবিতে রূপালী গেইট এলাকাবাসী নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করে। তাতে কোন প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী।