বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শফিকুল ইসলাম জনি নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে ফতুল্লার পঞ্চবটি কলোনির সামনে ট্রাক তাকে চাপা দেয়। তখন দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৩টায় মৃত্যু বরন করেন।
নিহত সাংবাদিক জনি ফতুল্লার ইসদাইর গাবতলী খানকা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। তার স্ত্রী ও ২ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
জনি ফতুল্লা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্য, চ্যানেল এস টিভির ফতুল্লা প্রতিনিধি ও নারায়ণগঞ্জের আলো নামে একটি স্থানীয় পত্রিকার ফটো সাংবাদিক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ফটো নারাযনগঞ্জ অনলাইন পোর্টালেরও সম্পাদনা করতেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্থানীয় মসজিদে তার জানাজা নামাজ শেষে মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,মোটরসাইকেল যোগে সাংবাদিক জনি ফতুল্লা থেকে চাষাঢ়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় বেপরোয়াগতি এসে শাহ সিমেন্টের একটি ট্রাক মোটরসাইকেলসহ জনিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এসময় আশপাশের লোকজন এসে জনিকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান জনি কোমরে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। ট্রাকের চাকা তার কোমরের উপর দিয়ে গিয়েছে। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম জানান, শাহ সিমেন্টের ট্রাক চালককরা দুর্ঘটনা ঘটনায় না। তারা পথচারীদের ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করে আনন্দ পায়। এপর্যন্ত ফতুল্লায় অসংখ্য নারী পুরুষ ও শিশু হত্যা করেছে। তারা সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ের সড়ক অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাক দিয়ে পিষে বড় বড় গর্ত করে ফেলে। সড়ক সংস্কারের এক মাসও জনসাধারন শান্তিতে চলাচল করতে পারেনা।
সাংবাদিক জনি হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবো। একই সঙ্গে শাহ সিমেন্টের বেপরোয়াগতির ট্রাক বন্দে প্রশাসনের কাছে দাবী জানাবো।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান,এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পক্রিয়া চলছে।