নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই যত ভয় এহসানের। দীর্ঘ ৫ বছর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেও জন সমর্থন বঞ্চিত হওয়ার এহেন ভয় তাকে প্রতিনিয়তই তাড়া করে ফিরছে। যে কারনে সারাজীবন বিএনপি’র রাজনীতি করেও ওসমান পরিবারের আশীর্বাদ আর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ পাওয়ার আশায় প্রথমে সরকারি দলের নৌকা পেতে ছিলেন মরিয়া আর এখন লাঙ্গল মার্কায় নিজের মঙ্গল খুঁজতে চাইছেন আসন্ন বন্দর ইউপি নির্বাচনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ। বন্দর ইউনিয়ন এলাকার ঝাউতলা, কলাবাগান, পুরান বন্দর, চৌধুরী বাড়ি, কুশিয়ারা তিনগাও ভদ্রসনসহ বিভিন্ন মহল্লাবাসী’র মুখে এখন এহসান সম্পর্কে নানা বিতর্কের ব্যাখ্যা শোনা যাচ্ছে।।
চেয়ারম্যান পদে থাকাবস্থায় বিগত ৫ বছরে বিচারের নামে প্রহসন, উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারদের কাছ থেকে গোপন চুক্তিতে কমিশন গ্রহনসহ নানা বিতর্কে বিতর্কিত এই চেয়ারম্যান প্রার্থী এহসান একেতো স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সদস্য, দ্বিতীয়ত খুনী সন্ত্রাসীদের গডফাদার আর জামায়াতের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও অর্থের যোগান দাতা হিসেবে বিতর্কিত হওয়ায় ৫০ লক্ষ টাকার মিশনেও নৌকার প্রতীক জয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যুদ্ধে হয়েছেন পরাজিত। প্রতিদ্বন্দ্বীতার ১ম ধাপেই প্রতিদ¦ন্দ্বী রফিকুলের কাছে এহেন শোচনীয় পরাজয় এহসানের জন্য এখন প্রেষ্টিজ ইস্যুতে হয়েছে পরিনত। যে কারনে লাঙ্গলই এহসানের এখন শেষ ভরসা। যে কারণে সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে আসন্ন বন্দর ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী এহসান এখন প্রধান অন্তরায়। যে কোন মূল্যে জয় পেতে মরিয়া এহসান তাই নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ঠেকাতে এবং রায়টা নিজের পক্ষে নিতে প্রতিনিয়ত তিনি গোপন লবিং আর নানা ফন্দি এঁটে চলেছেন। কেননা নৌকার মনোনয়ন যুদ্ধে রফিকুলের কাছে পরাজয় মেনে নিলেও ভোটের লড়াইয়ে তাকে যে কোনভাবে ল্যাং মারার জন্য সদা প্রস্তুত বন্দর ইউনিয়নের বিতর্কিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এহসান উদ্দিন আহমেদ।