বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
খোঁড়াখুড়ির কবলে পড়ে বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়া কবি নজরুল স্কুল সড়ক চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দাসেরগাঁ থেকে লক্ষণখোলা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা খনন করায় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। এমনকি রিকশা এবং বাইসাইকেল চলাচলও বন্ধ আছে। ৬ মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এই নাজুক অবস্থা বলে জানা গেছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। অপর দিকে ৬ মাস ধরে মালামাল পরিবহন করতে না পেরে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে ওই এলাকার ছোট বড় প্রায় একডজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসী জানান, ৬ মাস আগে কবি নজরুল স্কুল সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। প্রথমে সড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য রাস্তা খোড়া হয়। বর্তমানে ধীর গতিতে ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে বলে সূত্র জানায়। কিছুদিন পর লক্ষণখোলা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিল উচ্চ ক্ষমতা স¤পন্ন বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের জন্য রাস্তার মাঝখানে খোড়াখুড়ি শুরু করে। কিন্তু চল্লিশ শতাংশ খনন কাজ করার পর সিটি কর্পোরেশন খনন কাজে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, ৬ ফুট গভীর খনন, ওয়াসা ও তিতাস গ্যাস লাইন থেকে দূরে সরিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে উক্ত কাজ বন্ধের নোটিশ দেয়। এক সপ্তাহের মধ্যে খনন কাজ সমাপ্ত করে সড়কটি চলাচল উপযোগী করার কথা বলে পুনরায় শুরু হয় কাজ। এরপর দুই মাস চলে গেছে । এখনও পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ কিংবা সংস্কার হয়নি। বেহাল এই সড়কে মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। সড়কে চলতে গিয়ে অসুস্থ রোগী ও বয়স্করা পড়েছেন চরম বিপাকে। এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি সড়কটির ব্যাপারে নাসিক মেয়রের শরনাপন্ন হন ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ড চৌরাপাড়া এলাকার শাহাজালাল মুন্সি, শেখ ইয়াকুব, আব্দুল লতিফ রানা, হাজী মোহাম্মদ আলী সহ এলাকার ১৫/২০জন লোক। তারা মেয়রের সহযোগিতা চাইলে তিনি এলাকাবাসীর প্রতি বিরূপ আচরণ এবং ভর্ৎসনা করেন বলে জানা যায়। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এই অবস্থায় অবিলম্বে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।