বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক পুলিশ সদস্য গণপিটুনীর শিকার হয়ে এখন পঙ্গু হাসপাতালে। আহত পুলিশ সদস্যের নাম সুমন (কং নং ২১০৯)। বুধবার সকালে উপজেলার আড়াইহাজার-মদনপুর সড়কের নোয়াপাড়া এলাকায় অটোচালক ও এলাকাবাসী মিলে সুমনকে গণপিটুনী দেয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার আড়াইহাজার-মদনপুর সড়কের নোয়াপাড়া এলাকায় সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য সুমন ও অপর এক যুবক মিলে এক অটো চালককে মারধর করে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে যেয়ে কারণ জানতে চাইলে সুমন ও অপর যুবক তাদের উপর চড়াও হয়। এতে লোকজন দু’জনকে ধাওয়া দেয়। এক যুবক পালিয়ে গেলেও সুমনকে ধরে গণপিটুনী দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সদস্য সুমনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
নোয়াপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার সময় দুই যুবক সড়কের পাশে অটোচালক ইউসুফ(২০)কে মারধর করে। এ ঘটনা স্থানীয় লোকজন দেখে তাদেরকে ধাওয়া দিলে এক যুবক পালিয়ে গেলেও অপরজনকে ধরে গণপিটুনী দেয়। পরে লোকজন জানতে পারে গণপিটুনীর শিকার যুবক পুলিশ সদস্য।
এলাকাবাসীরা জানায়, পুলিশ সদস্য সুমন প্রায় সময় এলাকার বখাটে যুবকদের সঙ্গে নোয়াপাড়া এলাকায় ব্র্যাক অফিসের পাশে মাদক সেবন করতো। মাদক সেবন করেই অটোচালককে মারধর করে। পরে ধাওয়া দিয়ে তাকে ধরে গণপিটুনী দেওয়া হয়।
আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম জানান, গণপিটুনীর শিকার পুলিশ সদস্য সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে থানায় মামলা হলে অটোচালক ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়।
আড়াইহাজার থানার ওসি এম.এ হক জানান, পুলিশ সদস্য সুমন মদ খেয়ে মাতলামী করে মারধর করার ঘটনাটি সঠিক নয়। আহত পুলিশ সদস্য সুমন বেতন তুলতে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিতে উঠার সময় একটি অটোরিকসা পেছন থেকে সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। সুমনের ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অটোচালক ও লোকজন মিলে সুমনকে গণপিটুনী দেয়। পুলিশ সদস্য সুমনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অটোচালক ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।