বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য একাত্তুরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বাবু চন্দন শীল বলেছেন,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কন্ঠের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই ধর্ম যার যার উৎসব সবার। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান যে যে যার যার ধর্ম পালণ করবে কিন্তু আমরা বাঙালী জাতি ভাই ভাই আমাদের কোন ভেদাভেদ নাই। এই দেশ এই মাটি আপনার আমার সবার। হিন্দু মুসলিম খ্রিষ্টান বড় কথা নয় আমরা বাঙালী এটাই আমাদের আসল পরিচয়। তুমি কে আমি কে বাঙালী-বাঙালী। তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা। এই বাঙলা ভু-খন্ডের সম্মান আমদেরকে ধরে রাখতে হবে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শ্রী শ্রী রক্ষা কালী পূজা উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা ঋৃষিপাড়া পঞ্চায়েত কমিটি ও যুব কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ঢাক-ঢোল প্রতিযোগিতার উদ্বোধণকালে তিনি এসব কথা বলেন। বাবু চন্দন শীল আরো বলেন,আপনারা আমার বড় ভাই ওসমান পরিবারের কান্ডারী বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমানকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করিয়েছেন আমি আপনাদের আশ^স্ত করতে চাই আপনাদের মনোবাসনা পূর্ণ হবে আপনাদের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আপনাদের এই মন্দিরে আসবে এবং মন্দিরের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করে দিবে। ঋৃষিপাড়া পঞ্চায়েত কমিটি’র সভাপতি সুনীল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ঋৃষিপাড়া কালি মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা’র সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোপীনাথ দাস। প্রধাণ অদিথির বক্তব্যে গোপীনাথ দাস বলেন, স্বর্গীয় নাসিম ওসমান আমার প্রিয় বন্ধু ছিলেন যদি জানতাম নাসিম ওসমান সেইদিন শেষ বিদায় নিবেন তাহলে নিজেই জীবন দিয়ে দিতাম। আমি আমার বন্ধুর এইরকম মৃত্যু কোনভাবেই সহ্য করতে পারছিনা। আজকে নাসিম ওসমান বেঁচে থাকলে ঋৃষিপাড়া মন্দিরের কোন কাজই অপূর্ণ থাকতোনা। যেহেতু সে এটার প্রসস্তকরণন কাজের উদ্বোধণ করে গিয়েছিল সেহেতু এটির অনেক উন্নয়ন তিনি করতেনই। আসল ভাগ্য সহায় হয়নি তাই তিনি এটি সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। এসবই মায়ের ইচ্ছা। মায়ের ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হয়না। মায়ের ইচ্ছা না থাকলে আমরা পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখতে পারতামনা। গোপীনাথ দাস আরো বলেন,আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন হিন্দু-মুসলমানের কোন ভেদাভেদ রাখতে নেই। আমরা মানুষ ,আমরা বাঙালী এটাই আমাদের পরিচয়। আসুন আমরা বঙ্গবন্ধুর নীতিতে রূপান্তরিত হয়ে সোনার বাংলা গড়ে তুলি। কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন চুন্নির জেল হয়েছে,আরেক চোর লন্ডনে বসে চক্রান্ত করছে। সবকিছুরই একটা শেষ আছে। এদিকে ওসমান পরিবারকে ধ্বংস করতে একটি শক্তিশালী গ্রæপ কাছ দিয়ে মাঠে নেমেছে,অতএব সাবধান। ওসমান পরিবার যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে নারায়ণগঞ্জ হবে আলবদর,আলসামস আর রাজাকারদের ঘাটি।
প্রধাণ আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির ১ম যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক আজিজ। বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ সুজনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ,বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রদীপ দাস,মহানগর শাখার সভাপতি শ্রী লিটন চন্দ্র পাল,বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর চন্দ্র দাস,সমাজ সেবক মোঃ বাদশা মিয়া ও ঋৃষিপাড়া পঞ্চায়েত কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক বলরাম চন্দ্র দাস। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঋৃষিপাড়া যুব কমিটির সভাপতি সুজন চন্দ্র দাস। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত কমিটির কর্মকর্তা নিকুঞ্জ চন্দ্র দাস,জীবন চন্দ্র দাস,রতন চন্দ্র দাস,স্বপন চন্দ্র দাস,রিপন চন্দ্র দাস,সুজিত চন্দ্র দাস,যুব কমিটির কর্মকর্তা শংখ চন্দ্র দাস,কার্ত্তিক চন্দ্র দাস,অখিল চন্দ্র দাস,সঞ্জিত চন্দ্র দাস,তরুন চন্দ্র দাস,শিখন দাস,দীপক দাস,কৈলাশ চন্দ্র দাস,সন কুমার দাস,পলাশ দাস,বাবুল দাস,রাজেশ^র দাস,বিধান দাস,অজন দাস,অখিল দাস,শিপন দাস,খোকন দাস,চন্দ্র সাগর দাস,আশিক দাস.সুবারণ দাস,সুদেব দাস,মানিক দাস,অমিত দাস,সঞ্জয় দাস,মিন্টু দাস,পিযুস দাস প্রমুখ।