বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কমিটির অন্যতম নেতা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু বলেছেন, গৃহকর্মী রাজিয়া হত্যার বিচার না হলে জনগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাবে। তিনি বলেন, গৃহকর্মী রাজিয়ার(১৪) রহস্যজনক মৃত্যুর পর লাশ নিয়ে নিট কনসার্ন মালিকের সৃষ্ট ধুম্রজাল, ভুয়া পিতৃ পরিচয় দিয়ে লাশ দাফন, সন্দেহভাজন দাদি পরিচয় দানকারী সত্তরউর্ধো বৃদ্ধার নিকট লাশ হস্তান্তর এমনকি উল্লেখিত বৃদ্ধা কর্তৃক অপমৃত্যুর মামলায় ভুয়া ঠিকানা প্রদানসহ মামলার বাদী পক্ষের সাথে যোগাযোগের জন্য কোন মোবাইল নাম্বর উল্লেখ্য না করা, নিহতের তথাকথিত ভুয়া পিতা ও দাদি লাশটি নিজ এলাকাতে না নিয়ে নিট কনসার্ন কারখানা সংলগ্ন কবরস্থানে বিশেষ প্রহরায় দাফন করা; এসব কিছু মিলিয়ে রাজিয়ার অপমৃত্যু হয়নি বরং তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আশংকা তৈরী হয়েছে।
তিনি বলেন, এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তার কর্তব্য কাজে যথেষ্ট অবহেলা করেছে বলেও স্থানীয় একাধিক পত্র-পত্রিকাতে অভিযোগ উঠেছে। পত্রিকাসমূহের রিপোর্ট মোতাবেক মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী কালে স্বাক্ষী হিসাবে বাদীপক্ষ কিংবা নিরপেক্ষ কোন ব্যক্তি না রেখে যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে তারা সকলেই নিট কনসার্ন মালিকের আস্থাভাজন ব্যাক্তি। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের এই দায়-দায়িত্বহীন কর্মকান্ড নিট কনসার্ন মালিক পক্ষের যোগসাজসে রাজিয়া হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখার জোর দাবী করেছেন তিনি।
আবু হাসান টিপু বলেছেন, গৃহকর্মী নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা এখন ধনীকদের ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে। দেশে হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়ার সংস্কৃতির কারণে নারী শিশুসহ গৃহকর্মী নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা দিন দিন আশংকাজনক হারে বাড়ছে। আর তাই রাজিয়া অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলায় পরিণত করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারী অপরাধীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক সাস্তি দিতে হবে।
আজ ২৪ সেপ্টম্বর শনিবার সকালে শ্রমজীবী নারী মেত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন কল্পে সংগঠনের চাষাঢ়াস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নারীনেত্রী রাশিদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মী সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সালমা আক্তার সুমি, মুক্তা বেগম, রোকসানা বেগম, সুমা আক্তার, তিথী সুবর্না প্রমূখ।

