বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শহরের হৃদম প্লাজায় আনিছ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিশাত পারভীন ও শারমীন আহম্মেদ নামে দুই নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮ টায় দেওভোগস্থ হৃদম প্লাজার ৯০৬ নাম্বার ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ নিশাত পারভীন ও শারমীন আহম্মেদ তার পরিবার নিয়ে হৃদম প্লাজার ৯০৬ নাম্বারে ফ্লাটে বসবাস করে আসছে। একই ফ্লাটে মৃত মোস্তফা ইউসুফ লিটন তার স্ত্রী সন্তান বসবাস করে আসছে। নিশাত পারভীনের বোন আমেরিকা প্রবাসী মমতাজ লিটন জীবিত থাকা অবস্থায় তার বোন থেকে টাকা নিয়ে এই ফ্লাটটি ক্রয় করে তার সূত্র ধরে তারা এই বাসায় বসবাস করে আসছে।
এই ফ্লাটের বিষয়ে আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আদালত থেকে এই ফ্লাটটি মৃত লিটনের স্ত্রী সাবিয়া বা নিশাত পারভীনের পরিবারের কাউকে এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। গতকাল রাত ৮ টার দিকে সন্ত্রাসী প্রকৃতির ৬//৭ জন লোক নিয়ে মৃত লিটনের স্ত্রী সাবিয়াে বোন জামাতা আনিছ ফ্লাটে ডুকে। ভিতরে থাকা নিশাত পারভীন ও শারমীন আহম্মেদকে আনিছ, সাবিয়া ও ৬/৭ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক তাদের উপর হামলা করে ও মারধর করে। ঘরের জিনিষ পত্র লুটপাট করে। নিশাত ও শারমীনকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হেছরে ফ্লাট থেকে বের করে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়।
নিশাত পারভীন জানান,কোর আন শরীফ পড়ার সময় আমাদের ধরে টেনে হিছরে মারতে মারতে বাসা থেকে বের করে আনিছ। সন্ত্রাসী প্রকৃতির ৬/৭ জন লোক মুখে রুমাল বেধে ঘরে ঢুকে তারা আমাদের জিনিষ পত্র লুট করে। আনিছ আমাদের জামা কাপড় ধরে টানাটানি করে শীল্তা হানি করে। ব্লিডিং এর সিসি ক্যামেরা চেক করলেই প্রমান পাওয়া যাবে। আশেপাশের ফ্লাটের মানুষও বিষয়টি দেখছে তাদের জিজ্ঞেস করলেই সত্য টা যানা যাবে। আমার এর উপযুক্ত বিচার চাই।
শারমীন জানায়, আমাদের মারধর করে ফ্লাট থেকে বের কে দেওয়া হয়েছে। ফ্লাটের ভিতর আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র রয়েছে। আমাদের একজন প্যারালাইসেস অসুস্থ্য রোগী শয্যাশয়ী। তিনিই খুবই অসুস্থ্য। আমাদের ফ্লাটে এখন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এখন ওনার কিছু হলে এর দায়ভার করে নিবে। আমরা এই উপযুক্ত বিচার চাই।
পাশের ফ্লাটের এক প্রতিবেশী জানান, আমরা রাতে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পেয়ে বের হয়ে আসি। তখন দেখতে পাই আনিছ সাবিয়া ও আরো ৬/৭ জন মিলে নিশাত ও শারমীনকে চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে ফ্লাট থেকে বের করে দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের পরই সদর মডেল থানার এসই আই আরফি শেখ ঘটনাস্থলে বিষয়টি তদন্ত আসেন। তিনি জানান. বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ফ্লাটটি নিয়ে আগেই মামলা চলমান রয়েছে। সে বিষয়ে আদালত যা করার করবে। নিশাত ও শারমীনকে মারধরের বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রমান হলে আনিছের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।