বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত এই নারায়ণগঞ্জ জেলা। এই জেলার নামটিইও নারায়ণের নামে করা হয়েছে। আর নারায়ণগঞ্জের বেশীরভাগ সম্পত্তি এক সময় হিন্দু মালিকানাধীণ ছিল। যা রেকর্ড বই সার্চ করলে এর সততা পাওয়া যাবে। ১৯৭১ সালে অনেক হিন্দু পরিবার পাক বাহিনীর ভয়ে নিজেদের মালিকানাধীণ সম্পত্তি রেখে দেশে থেকে পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার পর এই সম্পত্তিগুলো সরকার অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে করেছে। বর্তমানে এই হিন্দু সম্পত্তিগুলো অনেকে ভূমিদস্যু জাল দলিলের মাধ্যমে অসৎ উপায়ে নিজেদের নামে করে নেয়। বর্তমানে তারা এই সম্পত্তিগুলো ভোগ দখল করে আসছে। এমনই এক হিন্দু সম্পত্তি নারায়ণগঞ্জ জেলার আমলাপাড়ায় রয়েছে। যা নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন চাষাঢ়া “ম” খন্ড মৌজার ৭ নং আর কে গুপ্ত রোডের যাহা বর্তমান ৭/২ নং আর কে গুপ্ত রোড আমলাপাড়া, থানা ও জেলা নারায়নগঞ্জ। এই সম্পত্তির প্রকৃত মালিক প্রতাপ চন্দ্র। প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে হিন্দু সম্পত্তি দখলের চাঞ্চলকর তথ্য। এই সম্পত্তি অনেক প্রয়োজনীয় আসল কাগজপত্র হাতে এসে পৌছেছে। শুধু জাল দলিল নয় দীর্ঘদিন ভোগ দখলের মধ্য দিয়ে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন।যার বর্তমান মাওলা টাওয়ার। উক্ত সম্পত্তি পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হয় বটে, ১৯৮৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হিসেবে প্রকাশিত হয় এই সম্পত্তি। কিন্তু সাহিদা ফিরোজ রুমা গং পিতা মৃত গোলাম রসুল, গোলাম মোহাম্মদ গং, পিতা মৃত গোলাম নবী, গোলাম আক্তার জামান গং, পিতা মৃত আলহাজ্ব গোলাম রহমান নামীয় ব্যাক্তিগণ বেআইনী অবৈধ জাল দলিল পত্র বানিয়ে নিজেরা নিজেই বাটোয়ারা মামলা করে বিজ্ঞ আদালতের সাথে প্রতারনা করে ডিগ্রী হাসিল করে। গোলাম মোহাম্মদ গং যে সকল দলিল দস্তাবেজ আদালতে জমা দিয়ে রায় হাসিল করে ঐ সকল দলিলের কোন অস্তিত্ব নেই। এবং ঐ সকল কাগজপত্র দ্বারা নারায়ণগঞ্জ সদর এর সহকারী কমিশনার (ভূমি)র যোগ সাজসে নিজেদের নামে নামজারী জমাভাগ করে নেয়। ম খন্ড মৌজার এই জায়গাটির সিএস ও এসএ রেকর্ডের সাথে কোন ধারবাহিকতা নেই। রিহাবের অনুমোদনহীন ডেভোলপার দ্বারা গোলাম পারভেজ গং ফ্লাট নির্মান করে তা জনসাধারনের কাছে বিক্রির পায়তারা চলছে এমনটি অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধান সুত্রে জানাগেছে একই হোল্ডিং এ অবস্থিত মাওলা টাওয়ারের ফ্লাট ক্রেতাগণ ও প্রতারণার শিকার। সুত্র বলছে, মাওলা টাওয়ার এর জমির মালিকগণ পরিত্যাক্ত সম্পত্তির জাল দলিল বানিয়ে অন্য দাগে নামজারী ও প্লান পাশ করে পরিত্যাক্ত সম্পত্তিতে অবস্থিত মাওলা টাওয়ারের ফ্লাট বিক্রি করে। বর্তমানে মাওলা টাওয়ারের ফ্লাট মালিকগণ তাদের ফ্লাট নামজারী জমাভাগ সহ রেজিষ্ট্রি করতে ব্যার্থ হয় এমনটি বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে। সুত্রে আরো জানা যায় গোলাম রাসেল প্লাজার ফ্লাট ক্রেতারাও একই অবস্থার শিকার হবে যদি তারা ৪র্থ সরকারী জজ আদালতের মানী ডিং ২২১/৪৯ মোকাদ্দমার বিগত ৬/৪/৫১ তারিখের নিলাম বিক্রির ৬/৬/৫১ তারিখের একখন্ড বায়নামা ২২/১২/৫২ তারিখের সার্টিফিকেট মূলে দখল প্রাপ্ত ২/৫/৮৫ তারিখের ১৭৩৯ নং মিউটিশন কেইস মূলে খাজনা ডি সি আর যাচাই বাছাই না করেন। সেক্ষেত্রে মাওলা টাওয়ারের ফ্লাট ক্রেতাদের মতো প্রতারনার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নের চাষাঢ়া “ম” খন্ড সি এস খতিয়ান-২৪৪ দাগ নং ৩০৪/৩০৩, এস এ খতিয়ান ৩৪৭ দাগ নং ৬৪৭/৬৫১,আর এস খতিয়ান ১৯৯ দাগ নং ৫৯৯/৬০০/৬০১/৬০২। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, সরকারী পরিত্যাক্ত সম্পদ বিজ্ঞ আদালতকে বিদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে তুলে বহুতল বিশিষ্ঠ ভবন যার প্লান পাশ অন্য দাগের। একে তো চুরি তার উপর সিনাচুরি। বিষয়টি সরকারের উর্দ্ধতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করছে ভুক্তভোগি মহল সেই সাথে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি প্রদানে বেড়িয়ে আসবে প্রকৃত সত্য।