বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লায় দীর্ঘ বছর ধরে ইজিবাইকে চাঁদাবাজী করে আসছে আজিজুর রহমান। যিনি নিজেকে শ্রমিক নেতা দাবী করে আসছেন। চাঁদাবাজীর অভিযোগ বেশ কয়েকবার আজিজুলকে আটকও করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ। এরপরও আজিজুলের বেপরোয়াগিরি কমেনি। বরং প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে আজিজুল। জানাগেছে, ফতুল্লা থানাধীন যে কোন সড়কে রিক্সা ( ব্যাটারী যুক্ত রিক্সা) চললে চাঁদা দিতে হয় আজিজুলকে। নির্দিষ্ট পরিমানের চাঁদা দিয়ে রিক্সা প্লেট দিয়ে প্রতি মাসে রিক্সা গ্যারেজে গিয়ে চাঁদা আদায় করছে আজিজুল। আর আজিজুলের দেয়া প্লেট না থাকলে সেই রিক্সা আটক করে তার বাহিনীর সদস্যরা। রিক্সা মালিকরা চাঁদা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে তাদের রিক্সা জব্দ করাসহ কৌশলে নানা প্রকার হয়রানী করে আজিজুল। সম্প্রতি কাশীপুর, ভোলাইল, পঞ্চবটি এলাকার রিক্সার মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আজিজুলকে চাঁদা দিতে অনীহা প্রকাশ করে। পাশাপাশি তারা নারায়ণগঞ্জ সদর রিক্সা ও ভ্যান কল্যান মালিক সমিতির কমিটি (রেজি: নং-৪৩৩৫) গঠনের মাধ্যমে আজিজুলকে চাঁদা দিতে অনীহা প্রকাশ করে। এরই প্রেক্ষিতি আজিজুল বাহিনীর সদস্য আনোয়ারুল কবির ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। যেখানে রিক্সা প্লেট নিতে অস্বীকৃতি জানালেই রিক্সা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন, হারুন উর রশিদ, সানাউল্লাহ, আরিফ ফকির, মিলন ও জাহাঙ্গীর আলম। অথচ এরা সকলেই রিক্সার মালিক ও নারায়ণগঞ্জ রিক্সা ও ভ্যান কল্যান মালিক সমিতির কমিটির নেতৃবৃন্দ। এদের মধ্যে হারুন উর রশিদের ৪৩টি, সানাউল্লাহ’র ২০টি, মিলনের ৫৫টি, আরিফ ফকিরের ৪৭টি অটোরিক্সা রয়েছে। মূলত এরা আজিজুলকে চাঁদা দিতে অনাহা প্রকাশ করেছেন। এব্যাপারে হারুন উর রশিদ জানান, আমরা সকল মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওদের কোন চাঁদা দিবো না। ওরা কোন রিক্সার মালিকও না। আমরা সকল মালিকরা চাঁদা বন্ধ করে দিয়ে একটা সমিতি করেছি। যে সমিতির মাধ্যমে রিক্সা চালক ও মালিকদের কল্যানে কাজ করছে। এদিকে, আজিজুলের প্লেট না নেয়ায় একটি রিক্সা আটকের বিষয় জানতে চেয়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সড়কে রিক্সা চললে প্লেট নিতে হবে। নয়তো চলতে পারবে না (ফোনের ভয়েজ রেকর্ড সংগ্রহে রয়েছে)। উল্লেখ্য, ফতুল্লার চিহিৃত পরিবহন চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত আজিজুল। প্রভাবশালী এই চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে একাধিকরাব তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল ফতুল্লা পুলিশকে। তাই এই ভয়ঙ্কর চাঁদাবাজকে গ্রেফতরা অনেকটা অনীহা রয়েছে থানা পুলিশের। এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সেপেক্টর (আইসিপি) আজগর হোসেন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি গিয়েছিলাম। মূলত আজিজুলরা রিক্সার প্লেট দিচ্ছে। আর অভিযুক্তরাও প্লেট দিচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে মূল ঘটনা জানতে পারবো।