বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় অটোরিকশা চুরির ঘটনায় শাকিল নামের একজনকে হত্যার ঘটনার কারণ উদঘাটন করেছে পিবিআই। ঘটনার প্রায় এক বছর সাত মাস পর ক্লু উদঘাটন করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। উদ্ধার করা হয়েছে ওই অটোরিকশাটিকে।
বৃহস্পতিবার পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, অপরাধ তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করায় পিবিআই এখন সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করছে। উপরন্ত পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলায় একটি ক্রাইমসিন ভ্যান যুক্ত হওয়ায় খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ সহ চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনে নব দিগন্তের সূচনা করবে এবং পিবিআই এর সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো রূপগঞ্জ এলাকার আরিফ চৌধুরী (৩১), ময়মনসিংহের আমিনুল ইসলাম (২৫) ও রূপগঞ্জের তারাব এলাকার আরব আলী (২৩)।
পিবিআই জানায়, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টা হতে পরদিন ১২ নভেম্ব সকাল ১০টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা আসামীরা তিন চাকা বিশিষ্ট অটোরিকশা ছিনতাই করার লক্ষ্যে শাকিলকে মোবাইল ফোনে বাড়ি হতে সু-কৌশলে বের করে। পরে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সোনারগাঁ থানাধীন গজারিয়া পাড়া রাস্তার পাশে জনৈক আলমগীরের বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় ফেলে দিয়ে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশা নিয়া যায়।
ওই ঘটনায় শাকিলের ভাই সজিব বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন। মামলাটি পরে নারায়ণগঞ্জ পিবিআইকে ন্যস্ত করা হয়।
তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সূত্রকে কাজে লাগিয়ে মোবাইল ব্যবহারকরীর নিকট মোবাইল বিক্রেতা আসামি আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগি আরিফ চৌধুরীকে গত ১৯ আগস্ট রূপগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। দুইজনের তথ্যে শাকিলের ব্যবহৃত অটোরিকশাটি আসামি আরব আলীর হেফাজত হতে উদ্ধার ও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আরিফ ও আমিনুল জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় অর্থ সংকটে থাকার কারণেই এ দুইজন মিলে শাকিলের অটোরিকশাটি চুরির পরিকল্পনা করে। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর বিকেলে পূর্ব পরিচিতি থাকায় ফোন করে শাকিলকে ডেকে আনে। পরিকল্পনা মোতাবেক দুইজন যাত্রী সেজে সোনারগাঁ থানাধীন তাজমহল এলাকায় যাওয়ার কথা বলে রওয়ানা করে। পথিমধ্যে শাকিলের গলায় থাকা মাফলার ধরে ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে অটোরিক্সা থেকে ফেলে দিয়ে নাকে মুখে আঘাত করে তাকে হত্যা করে। হত্যা নিশ্চিত করার জন্য ডিসিস্ট শাকিলের দুই চোখে রক্তাক্ত আঘাত করে। শাকিলের সঙ্গে থাকা মোবাইল ও টাকা লুটে নেয়। আর অটোরিকশাটি আরব আলীর কাছে বিক্রি করে দেয়।