বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদনহীন মশার কয়েল তৈরির ৩টি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে মালিক পক্ষ পালিয়ে যাওয়ায় ঐ কারখানা গুলো সীলগালা ও অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন (জোবিঅ) কর্তৃপক্ষের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা চৌধুরীর আদালত এ অভিযান চালায়। সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কারখানা ৩টিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক কয়েল তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল।
অভিযানে অংশগ্রহনকারী তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ জোনাল বিপনণ অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাফরুল আলম জানায়,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডের ধনুহাজী রোড এলাকায় হক এন্ড সন্স এর মালিকানাধীন হক সুপার, ইউনাইটেড মশার কয়েল ও ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি মৌচাক ক্যানেল সড়ক এলাকায় তোফাজ্জল হোসেনের মালিকানাধীন সামির কেমিক্যালসের এপেক্স মশার কয়েল কারখানা এবং মিজমিজি সাহেবপাড়া ক্যানেল সড়ক এলাকায় জাহাঙ্গীর হোসেনের মালিকানাধীন শাহ্ কেমিক্যালের ম্যাগনেট পাওয়ার গার্ড ও বসুন্ধরা মশার কয়েল কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা চৌধুরীরর আদালত ৩টি কারখানার মালিক পক্ষ পালিয়ে যাওয়ায় অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং সীলগালা করার আদেশ দেন। এছাড়াও মালিক পক্ষ ভ্রাম্যমান আদালতের খবর পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও তিতাস কর্তৃপক্ষ জানায়। সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে একটানা বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। এ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ উপস্থিত গনমাধ্যম কর্মীদেরকে অবগত করা হয়।
এছাড়াও অভিযানে উপস্থিত ছিলেন,তিতাস গ্যাস নারায়ণগঞ্জ জোনাল বিপনণ অফিসের উপ-ব্যবস্থাপক আবদুল কবির,সহকারী প্রকৌশলী হাসান শাহরিয়ার। আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন পুলিশের একটি দল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় মশার কয়েল তৈরির কমপক্ষে ৩০/৩৫ টি অবৈধ কারখানা গড়ে উঠেছে। প্রতিটি কারখানাতেই অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়েছে মালিকরা। অনুমোদনহীন এসব কয়েলের কোন গুনগত মান পরীক্ষিত না। জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে কারখানা গুলোতে তৈরি করা হচ্ছে এসব কয়েল। বিভিন্ন নামি দামি কারখানার উন্নত মানের কয়েল নকলও করা হচ্ছে এসব কারখানায়। দাম কম হওয়ায় অধিক মূনাফার লোভে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব কয়েল বিক্রিতে আগ্রহী হয়ে পড়েছে। গ্যাস চুরি ও সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে অনুমোদনহীন এসব কারখানা মালিকরা পাইকারী কম দামে কয়েল বাজারজাত করছে। রহস্য জনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনস্বস্থ্যের ক্ষতিকারক এসব অবৈধ কয়েল কারখানা ও মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার সাধারণ লোকজন।