বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লার সিমান্তবর্তী এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকটে কয়েক হাজার পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন। পরিত্রান পেতে জেলা প্রশাসক ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপনণ কার্যালয়সহ বিভিন্ন দফতরে এলাকাবাসীর আকুল আবেদন। রবিবার (৬ নভেম্বর) সকালে সাহেবপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম, রঘুনাথপুর জামে মসজিদের সভাপতি মো: কমর আলী মাতব্বর, দক্ষিণ সাহেবপাড়া জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মো: মজিবুর রহমান মিয়াজী, সাহেবপাড়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার সাধারন সম্পাদক মাষ্টার এমএ মতিন ভুঁইয়া, সাহেবপাড়া উন্নয়ণ সোসাইটির সভাপতি আলহাজ্ব রুহুল আমিন, সাহেবপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার জাফরী, কান্দাপাড়া জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, মামুদপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জুনায়েদ আহমেদ, সাহেবপাড়া উন্নয়ণ কমিটির মোবারক হোসেন খান, উত্তর সাহেবপাড়া জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক ড: হাবিবুর রহমান ও রঘুনাথপুর আজিমুশ্বান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জসিম উদ্দিন আল হাবিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ বিষয়ে আবেদন জমা দেয়। এছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপনণ কার্যালয়, অফিসার ইনচার্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও অফিসার ইনচার্জ ফতুল্লা মডেল থানা বরাবর অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সূত্র মতে এলাকাবাসী জানায়, আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা থানার সিমান্তবর্তী সাহেবপাড়া, কান্দাপাড়া, মিজমিজি, রঘুনাথপুর, নিতাইপুর ও মামুদপুর এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছি। দীর্ঘ প্রায় একবছর যাবৎ আমাদের বাসা বাড়ীতে দিনের বেলায় গ্যাস নাই বললেই চলে। এই সংকট থেকে পরিত্রানের জন্য জেলার তিতাস গ্যাস সঞ্চালন কার্যালয়ের নির্বাহীদের সাথে এবং উক্ত কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানিয়েও সন্তোষজনক কোন ফল পাওয়া যায় নাই। তিতাস গ্যাস কোম্পানী কর্তৃপক্ষ বার বার আমাদেরকে শ্বাস দিচ্ছে সরবরাহ ঠিক হয়ে যাবে এবং মাঝে মধ্যে ঠিকও হয়। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত লাইনে প্রচুর গ্যাস পাওয়া গেলেও ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাসের প্রকট সংকট পরিলক্ষিত হয়। গত দুই সপ্তাহ যাবৎ এই সংকট আরো ঘনিভুত হয়েছে।
এছাড়াও তারা জানায়, অত্র এলাকার অধিকাংশ নারী-পুরুষ কর্মজীবি। তারা সকাল বেলায় খাবার খেয়ে ও খাবার নিয়ে কাজে যায় এবং রাতে এসে খাবার খায়। গ্যাসের অভাবে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিশু ছেলে মেয়ে এবং ছাত্র/ছাত্রীরা ২/১টি বিস্কুট, সামান্য মুড়ি খেয়ে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে না খেয়ে পড়তে যায়। সারাদিন না খেয়ে বা বাহিরে ভেজাল খাবার খেয়ে কোমলমতি শিশুরা বিভিন্ন রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে এমনকি তাদের লেখা পড়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। সন্তানদের মুখের দিকে তাকালে অভিভাবকরা জ্ঞান শুন্য হয়ে পরছে। এ অবস্থায় ওই এলাকার নারী-পুরুষ ফুলে-ফুসে বিষ্ফোরিতো হওয়ার অবস্থায় উপনীত হয়েছে।
তাই এসব এলাকার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে অতি জরুরী ভিত্তিতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।