নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
আধিপত্য বিস্তার, দলীয় কোন্দল ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে শীর্ষ সন্ত্রাসী আমির বাহিরী ও সাজু বাহিনীর মধ্যে হাঙ্গামা দফার দফার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় আমির বাহিনীর অস্ত্র ভান্ডারের নিয়ন্ত্রণকর্তা মোস্তাফা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে পুলিশ মোস্তফাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত গোদনাইল আরামবাগ, রেল লাইন আদর্শবাজার ও জিএমসির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল থেকে আমির বাহিনী খন্ড খন্ড ভাবে এলাকায় সকাল থেকেই মহড়া দিচ্ছে। অপর দিকে সাজু বাহিনী চিত্তরঞ্জন আটপাড়া এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। এতে এলাকায় বিরাজ করছে উত্তেজনা । যে কোন মুহুর্তে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষই গুলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে কোন গুলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, গোদনাইল আরামবাগ এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে নাসিক ১০ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী আমির হোসেনের সাথে যুবলীগ নামধারি সন্ত্রাসী র্যাব ১১ হাতে ২টি পিস্তুল নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া অপর অস্ত্রধারি ক্যাডার শাহজাহান সাজুর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ দু’গ্রুপের মধ্যে ইতিপূর্বে একাধিকবার মারামারি, কটকেল বিস্ফোরন ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে সাজু বাহিনীর ৬ সন্ত্রাসী শাহজাহান, আরমান, সাজ্জাত, রিপন, তুন্না ও সাব্বিরকে দেশী অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করে ডিবি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী শাজাহান সরকার সাজু, তার সহযোগী পাপ্পু ও টিটু মহল্লায় এলোপাতালি গুলি করতে থাকে। এ খবর পেয়ে আমির বাহিনীর প্রধান আমির ও মোস্তফাসহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী আরামবাগ জিএমসি এলাকায় অবস্থান নেয়। সাজু জিএমসি এলাকায় এসে এলোপাতালি গুলি করলে আমির বাহিনী পালিয়ে যায়। এসময় আমির বাহিনীর ক্যাডার মোস্তফা গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি করেছে তার স্বজনরা। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই জহিরুল ইসলাম জহির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সাজু বাহিনী পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ মোস্তাফকে পাশের একটি পুকুর থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় এলাাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমির বাহিনী রোববার সকাল থেকেই খন্ড খন্ড ভাবে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। এদিকে সাজু বাহিনী চিত্তরঞ্জন আটপাড়া এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। যে কোন সময় দু’গ্রুপের মধ্যে আবরও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে এলাকার একটি সূত্র জানায়, আমির ও সাজু এক সময় একই বাহিনীর সদস্য ছিলো। মাদক ব্যবাসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহÑসভাপতি সেলিম পাঠান এর সাথে ২০১৫ সালে ১৫ ডিসেম্বর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেলিমসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ সহ। পরে সাজু ও আমির এলাকার মাদক নিয়ন্ত্রণ করে। পরে চলতি বছরের প্রথম দিকে আমির ও সাজুর মধ্যে দলীয় কোন্দল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পরে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমির বাহিনী সাজু বাহিনীর লোকদের পেলেই মারধোর করে এবং সাজুকে হত্যার জন্য কয়েক বার হামলা চলায়।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ সরাফত উল্লাহ জানান, একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গুলির ঘটনা আমার জানা নেই। তাছাড়া কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
১৫-৫-১৬