বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য রিপন হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী হুমায়ূন গ্রেফতার হলেও তার সহযোগীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। শনিবার রিপনের মৃত্যুর ঘটনায় ছোটভাই মাসুদ রানা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় হুমায়ূনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২জনকে আসামী করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় খুনী হুমায়ূনের অস্ত্রাঘাতে অপরাপর গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ এখনো আশংকামুক্ত হয়নি। তার হাতে ও পিঠে ৪৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান,হুমায়ূনকে ঘটনার দিনই গ্রেফতার করা হয়েছে। রিপনের মৃত্যুর পর সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে ধৃত হুমায়ূনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সূত্র মতে,মদনপুর ফুলহর এলাকার মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে মদনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য রিপন,মৃত মোঃ হানিফ মিয়ার ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ,মতিবর মিয়ার ছেলে নাজমুল ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে ৮ অক্টোবর সন্ধায় ধামগড় ইস্পাহানী এলাকায় যায়। রাত ১০টায় ব্যাটারী চালিত অটোরিকশাযোগে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সোনাচরা এলাকার আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী হুমায়ুন ও তার আরো দু’সহযোগী তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হলে এক পর্যায়ে হুমায়ূন তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে রিপনকে এলোপাথাড়ি কোপায়। এতে রিপনের পেটের বা দিকে গুরুতর জখম হয়। তাকে উদ্ধারে অপর ছাত্রলীগ নেতা অহিদ এগিয়ে এলে সন্ত্রাসী হুমায়ূন তাকেও হাতে ও পিঠে উপর্যপুরি কোপায়। আহতরা ডাক চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এলে হুমায়ূন গং চম্পট দেয়। পরে রিপন ও অহিদকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার বিকেলে রিপন হাসপাতালেই মারা যায়।