বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ৯ জনের মধ্যে এক জনের মনোনয়ণপত্র বাতিল করা হয়েছে। সাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতার কারনে বিএনপি বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুলতাল মাহমুদ ও ১১জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ণপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ণপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বৈধ ও অবৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করা হয়।
বিএনপি দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এখনোর নির্বাচনের প্লেইং ফিল্ড তৈরী হয়নি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্র জমা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার স্বার্থে তিনি সেনাবাহিনী নিয়োগ ও দলবাজ কর্মকর্তাদের বদলীর দাবি জানান।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে আসেনি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার পক্ষে এসেছিলেন তার মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক আব্দুর রাশেদ রাশু। বিএনপি দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী নিয়োগ সংক্রান্ত দাবির বিরোধীতা করেন মেয়র আইভীর মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক আব্দুর রাশেদ রাশু। তবে পরিস্থিতি বুঝে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার।
মো. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, জাসদের প্রার্থী নির্বাচনের মাত্র শুরু এখনো সোনাবাহিনী নিয়োগের সময় আসেনি। প্রয়োজন হলে দেখবো।
রির্টানিং অফিসার মো. নুরুজ্জামানান তালুকদার বলেন, প্রতীক বরাদ্ধের আগে কোন প্রার্থী প্রচারনায় অংশ নিতে পারবেন না। প্রার্থী কিংবা তাদের কোন লোক প্রচারনায় অংশ নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।