বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
কারো যদি মনে হয় বাংলাদেশের চাইতে পাকিস্তানিই ভাল ছিল। বাংলাদেশে তোমার থাকার দরকার নেই। যার পাকিস্তান ভাল লাগে তার বাংলাদেশে কেন? পাকিস্তানে যাও। বিএনপি মহা সচিব মির্জা ফখরুর ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে বলেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ।
শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত পিতা-পুত্র শীর্ষক প্রতিকৃতি উন্মোচন ও সংগঠনটির কর্মীসভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিএনপির একজন নেতা। ভাল মানুষও বলা যায় তাকে। হঠ্যাৎ করে কিন্তু তিনি কেন যেন বলে বসলেন বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান ভাল ছিল। যে দেশকে রক্ত দিয়ে অর্জন করেছি। কারো যদি মনে হয় বাংলাদেশের চাইতে পাকিস্তানিই ভাল ছিল। এরকম কথা যদি বলেন। তার এক মুহূর্ত বাংলাদেশে থাকার অধিকার আছে কিনা আমি জিজ্ঞেস করতে চাই। যার পাকিস্তান ভাল লাগে তার বাংলাদেশে কেন? পাকিস্তানে যাও। পাকিস্তানি গিয়ে তুমি নাচানাচি করো। বাংলাদেশে কথা বলার তোমার কোন অধিকার থাকার কথা নয়। বাংলাদেশে তোমার থাকার দরকার নেই।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, এখানে খাবেন এখানে ঘুরবেন। আলো বাতাসে মানুষ হবেন। পাকিস্তানের গুনকির্তন গাইবেন। পাকিস্তানিও খুব বেশী সুখে নাই। ইমরান খানের মত মানুষকে ৮০ ভাগ সমর্থন দিয়ে বসানো হয়েছে। তাকে ঘাটে ঘাটে হয়রানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনীতি করবেন পাকিস্তানের গুন কির্তন গাইবেন না। যে যাই বলেন যাই করেন আমরা যতক্ষন বেঁচে আছি বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে পারবেন না।
তিনি বলেন, গামছার দল করি বলে নৌকাওয়ালার ভাইবেন না বঙ্গবন্ধু সবখানি আপনার। বঙ্গবন্ধু যখন মারা যায় তার তিন ছেলেকে যখন মেরে ফেলা হয়, অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা তখন ইঁদুরের গর্তে লুকিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম বঙ্গবন্ধুকে ওরা নির্বংশ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা আমি নেবোই নেবো। যদি প্রতিবাদ না করতাম আমার ছোট ভাই শামীমও বাঁচত না আইভীও বাঁচত কীনা জানি না৷ তাই একটু ভেবে চিন্তে কথা বলবেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিক বলেন, নারায়ণগঞ্জকে আমি খুব ভালবাসি। নারায়ণগঞ্জের সাথে আমার রক্তের বন্ধন। আজ থেকে ৭০/৮০ বছ আগে আমার দাদা এই নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যাবসা করতেন। পাকিস্তানের নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে তিনি রাজনীতি করেছেন। তার বিশাল পাটের ব্যাবসা ছিল। কোথায় ছিল কী ছিল আমরা জানি না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি হঠাৎ মারা যান।
তিনি আরও বলেন, আরেকজন বলেছেন হঠাৎ বাংলাদেশ হয়েছে। বাংলাদেশ না হলে আপনি চায়ের দোকানেও কাজ করতে পারতেন না। বাংলাদেশ হওয়ায় বহু মানুষের তেল হয়েছে। এ দেশটাকে বাঁচাতে হবে। এখানে আসার সময় চমৎকার লেক দেখলাম। আমি নারায়ণগঞ্জে কোন দুর্গন্ধ দেখতে চাই না।
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম দেলোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিক। প্রধান বক্তা ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম নাসরিন কাদের সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইমরান জিসান, সেক্রেটারি মো. জামান প্রমুখ।