বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির চিত্রটা তুলে ধরতে চাই। আমরা সবাই জানি কিন্তু বলিনা। তেলের দাম বেশী, চিনির দাম বেশী, গ্যাসের দাম বেশী, বিদ্যুতের দাম বেশী। সব জিনিষেরই দামটা বেশী। সবচেয়ে সস্তা হলো আওয়ামীলীগ। এটার দাম সবচেয়ে কম। এই লক্ষণ ভাল সব জিনিষের দাম উর্ধগতি। এই কয়েকদিন পরপরই বিদ্যুতের দাম তো ১০ থেকে ১২ বার বাড়ানো হলো। কিন্তু যতবার জিনিষের দাম বাড়ে ততবার আওয়ামীলীগের দাম ততবার কমে। শেয়ার মার্কেট ডাউন করে দেন। শেয়ার মার্কেটের যে অবস্থা করেছেন। তাতে শুধু দেখা যাবে আওয়ামীলীগের দাম কতটুকু আছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে নগরীর খানপুর এলাকায় মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলগের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি তাতে দেশটা থাকবে কিনা। নির্বাচন দিয়ে কি করবেন দেশ না থাকলে। দেশটা চালাবেন কি করে। দেশের মানুষ বাঁচবে কি করে। সে কথাটা ভাবেন। সে কারনে আজকের দিনটি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতি অভিযান অর্থ্যাৎ সমাবেশ শুরু করলাম। বিদ্যুৎ খাতটা হলো টাকা চুরি করার একমাত্র বড় খনি। আর ওইযে রাস্তা ঘাট বললেন না বড় বড়। মেঘা পজেক্ট মানেই মেঘা চুরি। কুইক রেন্টাল মানেই কুইক কমিশন। কুইকরেন্টাল মানেই কুইক কমিশন টা পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, যে কারনে রাতারাতি এত টাকা বিদেশে পাড়ি জামিয়েছে বিনা পাসপোর্টে। আর পাসপোর্ট করে গেলেও তো আর যাইতো। আর আপনি যদি বিনা পাসপোর্টে যান তাহলে ইমিগ্রেশনে আপনাকে গ্রেপ্তার করবো ডুকবো দিবো না। এই মানি যদি ভিসা করে যাইতো তাহলে এই মানিগুলো ভিসার মাধ্যমে দেশে আসতে পারতো। কেমন একটা সমস্যা এদের যদি ফাঁসি দেয় টাকা ফেরত পাবেন না। কারন যার টাকা তার তো আনতে হবে। আবার টাকা তো জমা দিছে ঠিকই। এটা যখন ভোগ করতে যাবে তখন ঠিকই টের পাবে। সেজন্যই আজকে আমাদের সবকিছু হলো অর্থনীতির দুর্ব্যবস্থা। অর্থনীতি দুর্ব্যবস্থা মানেই জবাবদিহিতা নাই। জিজ্ঞাসা করার লোক নাই। মানুষের মধ্যে এই জিজ্ঞাসাবাদের প্রবণতা ও সাহসটা বাড়াতে হবে। রাস্তাঘাটে ধরতে হবে। ওই বেটা জবাব দে।
তিনি আরো বলেন, গনতন্ত্র কি উন্নয়নের গনতন্ত্র চাই । আরে এটা কি গনতন্ত্র আবার উন্নয়নের হয় নাকি। গনতন্ত্র উন্নয়নের শত্রু নাকি। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন থাকলে সে উন্নয়নটা টেকসই হয়। অর্থ্যাৎ ১০ টাকার কাজ ২০ টাকা দিয়ে করা যায়না। আর প্রশাসন মানে ঘুষখোরগুলো খুব মাতামাতি করছে কারন কি। যদি হাসিনা না থাকে তাহলে তো ঘুষের বাজার বন্ধ হয়ে যাবে। চলবো কেমনে খামো কেমনে। আজকে জনগনের টাকা ঘুষের টাকায় সব রাষ্ট্রীয় খাতে জমা হয়ে থাকে। এখন থেকে আমরা ভোটের কথা বাদ দেই, ভাতের কথা বাদ দেই, এই আমাদের টাকা জনগনের টাকা আমরা ফেরত চাই। এই আওয়ামীলীগের এমপি মন্ত্রী ও ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ প্রশাসনে যারা আছে সকলের সম্পদের হিসাব চাই। হিসাব দিয়ে বলুক আমি আয় করছি রোজগাড় করছি। আপনি যদি পরিশ্রম করে বড়লোক হতে পারেন হননা এটা দোষের কিছু না। আমি সেই পুরানা দিনের একটা গানের কথা বলবো কেউ নয় সাহেব বিবি , কেউ নয় গোলাম ভাই বকশিশ চাইনা মালিক হিসেবের পাওনা চাই।
লেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এড, আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু। এছাড়া মহানগর বিএনপির সদস সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ সহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।