বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শিশুরা নিস্পাপ ও অবুঝ হলেও তাদেরকেও ইদানিংকালে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। প্রায় সময়ই কিছু পাষন্ড ও মানুষরূপী পশুরা কোমলমতি শিশুদেরকে নির্যাতন চালিয়ে থাকে, এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, আবার অন্যদিকে প্রায় সময়ই নির্যাতনের মাত্রা বেশী হওয়ার দরুন তাদেরকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হচ্ছে। গত শুক্রবার বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় একটি তুচ্ছ ঘটনা-হারানো মুরগি আনতে গিয়ে ৯ বছরের শিশু তারেককে আক্তার নামক এক পাষন্ডের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তার শারীরিক অবস্থা খারাপের পর্যায়ে গেলে জেলা শহরের সিলভার রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার বিষয়ে গতকাল গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে পিআইবি’র এস আই সোহেল শিশু তারেককে দেখতে সিলভার রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে যান এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে নবীগঞ্জ এলাকার সাধারণ মানুষ। গতকাল স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানান ‘শিশুরা পবিত্র। আর সামান্য মুরগি আনাকে কেন্দ্র করে এভাবে একটি শিশুকে নির্যাতন আমাদের কষ্ট দিয়েছে। আমরা ব্যথীত হয়েছি। আমরা আক্তার নামক নরপিশাচ, পাষন্ডের কঠিন শাস্তি দাবী করছি। যাতে আর কোন কুলাঙ্গার ও নরপিশাচ শিশুদের এভাবে নির্যাতন না করতে পারে। আমরা আক্তারকে কঠিন শাস্তি দেয়ার জন্য বন্দর থানা পুলিশকে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি বিধানের দ্বারা বন্দরকে কলংকমুক্ত করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি’। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার বাজারে মুরগি জবাই করার সময় ১টি মুরগি ছুটে আক্তারের বাড়িতে চলে গেলে শিশু তারেক মুরগিটিকে আনতে গেলে আক্তার তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি এবং বুকের উপর উঠে নির্যাতন করে। শিশুটিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় এবং পরে তার শারীরিক অবস্থা খারাপের পর্যায়ে গেলে জেলা শহরের সিলভার রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে সেখানেই মারাত্মক ঝখম অবস্থায় শিশুটি চিকিৎসারত আছে বলে জানা গেছে। এ বিষয় বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবার বিষয়ে আহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এদিকে ফেইছবুকেও এ বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে ফেইছবুক ব্যবহারকারীরা আক্তারের শাস্তি বিধানের পাশাপাশি তাকে ঘৃণা জানিয়েছেন। আহতের পরিবার প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আক্তারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ জানিয়েছেন।