৩দিনের রিমান্ডের নামে পুলিশের বানিজ্য……….
বন্দরে লিখন হত্যা মামলার ৩ আসামীকে ২০ হাজার টাকা’র বিনিময়ে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই আদালতে প্রেরণ
নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকার লিখন হত্যা মামলায় ধৃত ৩ খুনীকে কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ২০ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে কোনপ্রকার জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ৩দিনের রিমান্ড ছাড়াই গত বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে উৎকোচ পেয়ে হত্যা মামলার আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে আদালতে প্রেরণ করার ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্নের সঞ্চারসহ নিহতের পরিবারে চরম শংকা বিরাজ করছে। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়,বিশেষ পেশাদারী জনৈক দালাল খুনীদের রিমান্ড মওকুফ করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে উৎকোচ প্রদান করে। উৎকোচ পেয়ে তদন্তাকারী কর্মকর্তা রিমান্ডে আনা খুনীদের কোনপ্রকার জিজ্ঞাসাবাদ না করেই জামাই আদরে রেখে ৩দিন পর তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করে। সূত্র মতে,মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকার আমানউল্লাহ মিয়ার ছেলে লিখনের সঙ্গে একই এলাকার সুরুজ্জামানের ছেলে সাদ্দামের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সাদ্দাম তার নিজ বাড়িতে লিখন ও তার দু’ বন্ধু হৃদয় ও জামাল এবং মাদক স¤্রাট সানি,টিটুসহ আরো কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে যায়। ওই ঘরে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতিতে রূপ নিলে এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী সানি,টিটু ও সাদ্দামসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা লিখনকে চোর আখ্যা দিয়ে গণপিটুনী দেয়। ওই মুহুর্তে হৃদয় ও জামাল লিখনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। এদিকে সন্ত্রাসীদের গণপিটুনীতে লিখন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে। এলাকাবাসী হৃদয় ও জামালের ডাক চিৎকারে ছুটে এলে অবস্থা বেগতিক বুঝে অন্যারা পালিয়ে গেলেও জনতা ঘটনার মূল হোতা সাদ্দামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এদিকে হত্যাকান্ডে ২ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার আগেই বন্দর থানা পুলিশ হত্যাকোন্ডের নায়ক সাদ্দামের ভাই সানি ও তার বন্ধু টিটুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে লিখনের ভাই বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।