বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে রেললাইন বাসষ্ট্যান্ড মহাসড়কের ধার থেকে সবুজ মেহগুনি ও কড়ই গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সবুজ পাতাযুক্ত গাছ কাটা সরকারীভাবে নিষিদ্ধ কিন্তু বনবিভাগের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র মৃত জড়াজীর্ণ গাছের ঢালা ছাটাই করার নির্দেশ রয়েছে। এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কিছু কথিত বৃক্ষ কন্ট্রাক্টর অবৈধভাবে জীবন্ত গাছ কাটার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকেই ছুটির দিনে বন্দর বাসষ্ট্যান্ডের মহাসড়কের ধারের জীবন্ত কয়েকটি গাছ কাটা শুরু করেছে আলআমিন নামে কথিত বৃক্ষ কন্ট্রাক্টর। শুক্রবার সকালে জীবন্ত গাছ কাটতে দেখে এলাকার লোকজন নিষেধ করলে কন্ট্রাক্টর আলআমিন তাদের ধমক দিয়ে বলে বনবিভাগে নালিশ করেন আর প্রশাসনকে খবর দেন কোন লাভ হবে না। কেননা উপড় মহলে আমার লোক আছে। প্রভাবশালী কতিপয় ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে অসাধু এই বৃক্ষ কন্ট্রাক্টর আলআমিন ছুটির দিনে শ্রমিক নিয়োগ করে জীবন্ত বৃক্ষ নিধন করে চলেছে। এ ব্যাপারে গাছ কাটার নিয়োগকৃত শ্রমিক দুলাল জানায়, আমরা তো জানি মরা গাছ কাটা হবে। কন্ট্রাক্টর আলআমিন ভাই জোড়পূর্বক আমাদের দিয়ে জীবন্ত গাছ কাটতে অর্ডার দিয়েছে আর ডাবল মজুরী দিবে বলেছে। বন্দর বাসষ্ট্যান্ডের সাথে সবুজ পাতাযুক্ত গাছ রয়েছে। গাছগুলো মদনগঞ্জ টু মদনপুর মহাসড়কটিকে ছায়া দিয়ে আবৃত করে রাখে। অথচ এই জীবন্ত গাছগুলো শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকে কাটা হয়েছে। মরা ও পুরানো গাছের পরিবর্তে কেন জীবন্ত সবুজ গাছ কাটা হবে এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা প্রথম শ্রেনীর বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট মৌসুমী হাবিবকে অবহিত করলে তিনি জানান,বনবিভাগ কাউকে জীবন্ত বৃক্ষ কাটার অনুমতি দেয় নাই। মৃত,জড়াজীর্ণ গাছের ঢালা কাটার পরিবর্তে যারা জীবন্ত গাছ কাটবে তাদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।