বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অমিতাস (১৬) নামে এক তরুন নিহতসহ ও ২জন আহতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ১৪ জুন (রোববার) সকালে নিহতের পিতা শ্যামলদাস বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- ৯(৬)২০। ধারা- ১৪৩/ ১৪৯/ ৩২৩/ ৩২৫/ ৩০৭/ ৩০২ পেনাল কোড ১৮৬০। আহতরা হলো শান্ত (১৫) ও রাব্বি (১৬)। গত ১২ জুন (শুক্রবার) রাত ৮ টায় বন্দর থানার আমিন আবাসিক এলাকাস্থ শেফা ডকইয়ার্ডের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর দেওয়া সংবাদের প্রেক্ষিতে বন্দর ফাঁড়ী ইনর্চাজ ও পুলিশ পরিদর্শক তসলিমসহ সঙ্গীয় র্ফোস ১৪ জুন (রোববার) সকাল ৮টায় মোক্তারপুর শাহ সিমেন্টে কারখানার সামনে শীতলক্ষা নদীতে ভাসমান অবস্থায় ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য র্মগে প্রেরণ করে। মামলা ায়েরের ২ ঘন্টা ব্যবধানের মধ্যে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গোপন সংবারে ভিত্তিতে বন্দর বাবুপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং সদস্য ঘাতক শাহ পারান (২০) নামে যুবককে আটক করে। পরে ওই দিন বেলা ১১ টায় ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার আমিন আবাসিক এলাকার ২ নং গল্লিস্থ উত্তমের বাড়ি ভাড়াটিয়া শ্যামল দাসের ছেলে অমিতাস ও তার দুই বন্ধু শান্ত ও রাব্বি গত ১২ জুন (শুক্রবার) রাত ৮ টায় আমিন আবাসিক এলাকাস্থ শেফা ডকইয়ার্ডের সামনে আড্ডা দেয়ার সময় বন্দর বাবুপাড়া এলাকার মজিবুর মিয়ার ছেলে কিশোর গ্যাং এর সদস্য শাহপরান, একই এলাকা বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাকিল, সঞ্জয়, সোহেল, ফয়সাল, শুভ, সানী, সোহাগসহ অজ্ঞাত নামা ১৪/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে ও লাঠি সোটা নিয়ে অমিত দাস ও তারুই বন্ধুর উপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা অমিত দাসসহ তারুই বন্ধুকে বেদম ভাবে পিটিয়ে আহত করে। এ পর্যায়ে আমিত দাসসহ তার্ইু বন্ধু জীবন বাঁচাতে ঘটনাস্থলে থাকা একটি বাল্কহেডের উপরে উঠলে উল্লেখিত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা অমিত দাস তারুই বন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে বেদম ভাবে পিটিয়ে শীতলক্ষা নদীতে ফেলে দেয়। পরে অমিত দাসেরই বন্ধু সাঁতার কেটে তীড়ে উঠতে সক্ষম হলেও অমিত দাস গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। এ ঘটনার সংবা পেয়ে অমিত াসের স্বজনরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে শীতলক্ষা নীতে খোজাকুজি করে। পরে এ ঘটনার ১ দিন পর ১৪ জুন রোববার সকাল ৮ টায় স্থানীয় এলাকাবাসী শীতলক্ষা নদীতে লাশ দেখতে পেয়ে বন্দর থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ মুক্তারপুর শাহ সিমেন্টে কারখানার সামনে ভাসমান শীতলক্ষা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই যুবকের মৃত দেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো: রফিকুল ইসলাম গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা এই মামলায় শাহপরান নামে এক যুবককে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবারে জন্য মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। এবং বিজ্ঞ আদালত ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শাহপরানকে নিবিড় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচেছ।