বিজয় বার্ত ২৪ ডট কম
বন্দরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক রাতে ১০ বিঘা ভরাট জমি দখলের ঘটনায় গার্মেন্টের ব্যবস্থাপকসহ স্থানীয় দালাল শপ্পাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে জমির মালিক মীর ফকরুল ইসলামের কেয়ারটেকার আবু সাঈদ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো, কামতাল এলাকায় অবস্থিত পোশাক তৈরী কারখানা টোটাল ফ্যাশনের ম্যানেজার কবিরুল ইসলাম, স্থানীয় দালাল শফরউদ্দিন শপ্পা ও আব্দুল লতিফ আরও অজ্ঞাত। মামলা সূত্রে জানাযায়, রাজধানীর রমনা থানার ২০৪ নং শহীদ নজরুল ইসলাম স্মরনী ৮৯ বিজয়নগর এলাকার মৃত মীর জালালউদ্দিনের ছেলে ফকরুল ইসলাম ২০-২৫ বছর আগে থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামে ৩০-৩৫ বিঘা জমি ক্রয় করেছেন। ওই জমিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদের মাধ্যমে বালু ভারাট করেন। ওই ভরাট করা সম্পত্তিতে চেয়ারম্যানের লোকজন দেয়াল নির্মানের কাজ করে আসছে। গত শনিবার রাতে একই এলাকায় অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন নামের পোশাক তৈরী কারখানার মালিক হাসিবউদ্দিনের সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে কেয়ারটেকার নুরুল ইসলাম ও রাজ মিস্ত্রিকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ১০ বিঘা জমিতে টিনের ভাউন্ডারি ভেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। এ ঘটনায় জমির মালিক মীর ফকরুল ইসলামের কেয়ারটেকার স্থানীয় যোগীপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আবু সাঈদ বাদি হয়ে টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টেসের ব্যবস্থাপক কবিরুল ইসলাম, কামতাল গ্রামের মৃত শংসের আলী চকিদারের ছেলে দালাল শফুরউদ্দিন শপ্পা ও মালিভিটা গ্রামের মৃত ছামসুল হকের ছেলে আব্দুল লতিফকে আসামী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম বলেন, জমি দখলের ঘটনায় টোটাল প্যাশন গার্মেন্টের মালিক পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম দখলের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চোর আখ্যা দিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেয়া দুই ব্যাক্তিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় গার্মেন্ট মালিক হাসিব উদ্দিন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।