বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে একই দিনে পৃথক ৩টি স্থানে ৩জনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় ও দিবাগত রাতে থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ কল্যান্দি, বন্দর ইউনিয়নের বালুচর ও মদনপুরের লাউসার এলাকায় এঘটনাত্রয় ঘটে। তিনটি ঘটনাই তাদের নিজ আবাসস্থলের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘটে। আত্মহননকারীরা হলেন, বন্দরের জিওধরা এলাকায় প্রবাসী স্বপন মিয়ার স্ত্রী মুন্নি(২৫), বালুচর এলাকার জয়নাল আবেদীন মিয়ার ছেলে মোঃ ইব্রাহিম পাবেল (৩২), ও সোনারগাঁও কাঁচপুর এলাকার, দীলিপ বাবুর স্ত্রী নিপা রাণী(৩৫)।
জানা গেছে, জিওধরা এলাকায় প্রবাসী স্বপন মিয়ার স্ত্রী মুন্নি ১৩দিন পুর্ব হতে তার ৬বৎসরের একটি ছেলেসহ কল্যান্দী এলাকার নার্গিস বেগমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থেকে আসছেন। এসময় তার স্বামীর সঙ্গের পারিবারিক কোলাহ চলছিলো। তবে ২১জুন রাতে তিনি স্বাভাবিকভাবেই তার ঘরে সন্তানসহ ঘুমাতে যান। এসময় তিনি কাউকে কিছু না জানিয়েই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে ভোর ৪ টার দিকে তার ছেলে তাকে নিথর ঝুলন্ত দেহ দেখে বাড়িওয়ালা নার্গিস বেগমকে জানালে তারা পুলিশসহ স্থানীয়দের খবর দেন।
স্থানীয় সূত্রানুযায়ী,মুন্নি পারিবারিক কোলাহ কিংবা কোন প্রেমঘটিত কারণে এ ঘটনাটি ঘটাতে পারে।
এদিকে বালুচর এলাকায় জয়নাল আবেদীন মিয়ার ছেলে মোঃ ইব্রাহিম পাবেল পিতার কাছে নানা কারণে টাকা পয়সা চাইতো।কিন্তু পিতা তার চালচলণে অসন্তুষ্ট থাকায় সবসময় তাকে টাকা দিতেন না। এরই জের ধরে ২১জুন রাতে তিনি নিজেদের নির্মানাধীন ভবনের ফ্যানের সাথে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
অপরদিকে, সোনারগাঁও কাঁচপুর এলাকার দীলিপ বাবুর স্ত্রী নিপা রাণী দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে লাউসার এলাকার মিলন মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। স্থানীয় সুত্রে, তাদের স্বামী-স্ত্রী’র প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হত। এরই জের ধরে ২১জুন বিকেল অথবা সন্ধ্যায় তার নিজ গৃহে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ঘটনা ৩টির খবরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
৩টি ঘটনার জন্য থানা পৃথক ৩টি অপমৃত্যু মামলা এন্ট্রি করা হয়েছে।