ফুলবাড়ী,দিনাজপুর,বিজয় বার্তা ২৪
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র সাব্বিরের দুটি কিডনী বিকল হয়ে গেছে। ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ চালাতে পারছে না সাব্বিরের দরিদ্র অভিবাবক। অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মেধাবী ছাত্র মৃত্যুর প্রহর গুনছে। মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন।
সাব্বির হোসেন (১৫) রাজারামপুর এস. ইউ. উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র। সে ৮ম শ্রেণীর জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ৫ পেয়েছে এবং ৫ম শ্রেণীর পিএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ৫ এর পাশাপাশি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায়। সাব্বির ফুলবাড়ী উপজেলার রাজারামপুর কাশিয়াডাঙা গ্রামের হাসান আলীর পুত্র। সাব্বিরের বাবা পেশায় একজন ভ্যান চালক। মা মোছাঃ সাবিনা বেগম গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন, ছেলের অসুস্থ্যতার কারণে এখন গৃহকর্মীর কাজ করতে পারেন না।
সাব্বিরের বাবা হাসান আলী জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(পিজি)হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সাব্বিরকে কিডনী ট্রান্সফারের জন্য নিজ আতœীয়র মধ্যে থেকে কিডনী না মিলায় সপ্তাহে দুটি ডায়ালাইসিস করার পরামর্শ দিয়েছেন। হাসান আলী এনজিও থেকে লোন নিয়ে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ১০ বার ডায়ালাইসিস করিয়েছেন। গত ২৩ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সাব্বিরের বাবা-মা তাদের সন্তানকে নিয়ে স্থানীয় টি-এম হেলথ কেয়ার এন্ড ইমদাদ সিতারা খান কিডনি সেন্টারে সামান্য টাকা নিয়ে আপাতত ডায়ালাইসিস শুরু করেছিলেন কিন্তু ছোট বাচ্চাদের ডায়ালাইসিস করার এক্সপার্ট না থাকায় সেখানে ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে না।তার দৈনিক রোজগারের একমাত্র অটো ভ্যানটিও বিক্রি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েকবার ডায়ালাইসিস করিয়েছেন। এখন তার কাছে কোন টাকা না থাকায় গত ১মাস যাবৎ কোন প্রকার ডায়ালাইসিস করতে না পারায় সাব্বিরের শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হতে চলেছে।এই কথা জানাতে জানাতে কীভাবে সন্তানের চিকিৎসা করাবেন! এই চিন্তায় অঝরে কাদতে শুরু করেন।
সাব্বিরের মা সাবিনা বেগম জানান, গত বছরের আক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর এই ৩ মাসে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার চিকিৎসা খরচ চালাতে সহযোগীতা করেছেন। বর্তমানে স্থানীয় কিছু ব্যক্তিবর্গ, ২ জন সাংবাদিক চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। এখন তাদের কাছে কোন টাকা না থাকায় তাহলে কীভাবে সন্তানের চিকিৎসা করাবেন!তার মেধাবী ছেলেটি কি চিকিৎসা খরচের অভাবে অকালে মারা যাবে? এই চিন্তায় অঝরে কাদতে শুরু করেন। সাব্বিরের মা সাবিনা বেগম আরও বলেন, সমাজে অনেক বিত্তশালী মানুষ আছে যাদের অর্থ থেকে সামান্য সামান্য সহযোগীতা করলে একমুঠে অনেক টাকা হতো। হয়তো বেচে যেতে পারে তার সন্তান।
সকলে মিলে সাব্বিরকে বাচাতে এগিয়ে আসুন। মানবতার সেবায় এগিয়ে আসুন। নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র সাব্বিরকে চিকিৎসা খরচের জন্য সহযোগীতা করতে যোগাযোগ করুন এই নাম্বারে ০১৭৭৯৭১৬২৫১ (সাব্বিরের মায়ের মোবাইল নাম্বার) উক্ত নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট চালু করা আছে। আপনার সামান্য সহযোগীতায় পারে সাব্বিরকে বাচাতে।