বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
দীর্ঘ বছর পর অবশেষে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের কমিটি পুনঃগঠন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি টিম এমনটিই জানালেন একটি সূত্র।
এদিকে কমিটি গঠনের খবর পেয়ে শীর্ষ পদ দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী, অছাত্র ও বিবাহিত নামধারী নেতারা। যদিও জেলা ছাত্রলীগের একাধিক শীর্ষ নেতাদের সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন গঠনতন্ত্র মোতাবেক ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
জানা গেছে, প্রায়ই এক যুগ আগে আবু মো. শরীফুল হককে সভাপতি ও এমএ মান্নানকে সাধারণ সম্পাদক করে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন কমিটি না হওয়ায় প্রকৃত ছাত্রদের অবমূল্যায়ন করায় ছাত্রলীগ ত্যাগ করেছে অনেক তরুণরা। তাই ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের কথা চিন্তা করে কমিটি পুনঃগঠনের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। নতুন কমিটির শীর্ষ পদ দখল করতে মেহেদী হাসান জুয়েল মরিয়া হয়ে উঠেছে। গঠনতন্ত্রে বিবাহিতরা ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকতে পারবে না এমন বিধি নিষেদ থাকলেও তা উপেক্ষা করে বিশেষ একজনের নাম ব্যবহার করে সভাপতির পদটি দখল করতে চেষ্ঠা চালাচ্ছেন মেহেদী হাসান জুয়েল। এক সন্তানের পিতা হলেও ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ন পদ দখলের চেষ্ঠাকে অনেকের হাসির খোরাগ জুগিয়েছে। শুধু জুয়েল নয় পাগলার ইমরানও (সন্ত্রাসী) পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেও পাগলা এলাকায় ইমরান বাহিনী ও সন্ত্রাসী মিরু বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় ইমরান তার বাহিনী নিয়ে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গোটা এলাকায় মহড়া দিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। জেল খাটা আসামী শরিফ হোসেন শামীমও ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ পেতে লবিং চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও গর্ত থেকে হঠাৎ বেড়িয়ে আসা অনেক নেতা জুড়ে সুরে দৌড়ঝাপ চালাচ্ছে পদ পেতে।
এদিকে বিবাহিত, অছাত্র ও সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগের পদে স্থান পেলে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগের দীর্ঘদিনের ঐতিয্য হারিয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেননা সারাদেশের প্রতিটি ছাত্রলীগ ইউনিটির আইডল হিসেবে পরিচিতি রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের। তাই ইতিহাসের ঐতিয্য ধরে রাখতে কোন অযোগ্যদের নতুন কমিটিতে স্থান না দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন ছাত্রলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।