বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত স্বর্ণ ব্যাবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যা মামলার প্রধান আসামী পিন্টুর সহযোগী বাপন ভৌমিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
দুই দফায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে বাপন ভৌমিককে মঙ্গলবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক ইমামের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আশিক ইমামের আদালতে বাপন ভৌমিক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
প্রবীর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাপন ভৌমিকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, কিভাবে পিন্টু বাপনকে দিয়ে কুমিল্লায় গিয়ে প্রবীরের মোবাইল থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর কথা বলেছিল।
এর আগে গত ১৪ জুলাই বিকেলে নারায়নগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের খাস কামরায় প্রবীর ঘোষ হত্যাকান্ডের মূল আসামী পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
পিন্টু দেবনাথ জাবানবন্দিতে কিভাবে সাত টুকরা করে প্রবীর ঘোষকে একা হত্যা করেন তার বর্ণনা দেন। এরপর আরো তদন্তের জন্য পিন্টুর সহযোগী বাপন ভৌমিককে দু’দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। আজ রিমান্ডের শেষ দিনে বাপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন কালিরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ। নিখোঁজের ২১ দিন পর ৯ জুলাই রাত ১১টায় ঘাতক পিন্টুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শহরের আমলাপাড়া এলাকায় পিন্টু যে বাড়িতে ভাড়া থাকতো সেই চার তলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে পপ্রায় দেড় বছর আগে নিখোঁজ কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহার নিখোঁজের আসল রহস্য। স্বপনকে ব্যবসায়ীক দ্বন্দের জের ধরে ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে পিন্টু দেবনাথের বাসায় বসে স্বপনকে হত্যার পর লাশ শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
মাসদাইর এলাকার রত্না রানী চক্রবর্তী ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মামুন মোল্লাকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে আরেক ব্যাবসায়ী স্বপন কুমার হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য।