বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
দেশ ও মানুষের কল্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ২০১৫ সালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের আলীরটেকে ৫২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি। ওই সময় ৩ মে উদ্বোধন হওয়া তার এই উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ হয়ে দাড়ায় ছাত্রদলের সক্রিয় ক্যাডার আলীরটেকের সায়েম আহম্মেদ। একটি ঘরেও থাকবে না অন্ধকার, সব ঘরে জ্বলবে আলো এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়। তারই উন্নয়নের ধারবাহিকতায় বেসরকারী উদ্যোগে নির্মিত ৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে আলীরটেক ইউনিয়নের কুঁড়েরপাড়ে ধলেশ্বরীর শাখা নদীর তীরবর্তী স্থানে সিনহা পিপলস এনার্জি লিমিটেড নামের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। ওই সময় খালি বার্জ ও লাইটারেজ জাহাজ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটির সামনে নোঙ্গর করে ফেলে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত সায়েম আহম্মেদ সহ কয়েকজন। যাতে করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোন জাহাজ জেটিতে ভিড়তে না পারে এবং জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে না পারে। থানা সূত্রে জানা যায়, সায়েম আহম্মেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে ১০ মে শাহবুদ্দিন নামে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। সেখানে ওই কর্মকর্তা উল্লেখ্য করেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটির সামনে জাহাজ নোঙ্গর করে রাখায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানী তেল সরবরাহে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং স্বাভাবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সেখানে কর্মরত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রাণনাশেরও হুমকিরও অভিযোগ তুলেন জিডিতে।
ছাত্রদল নেতা কাম আওয়ামীলীগ নেতা সায়েম আহম্মেদ’র বিরুদ্ধে সেই সময় অভিযোগ উঠে ভূমিদস্যুতার। আলীরটেক ইউনিয়নের কুঁড়েরপাড়ে ধলেশ্বরীর শাখা নদীর তীরবর্তী স্থানের জায়গাগুলো সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কম দামে বায়না করে বেশী দামে ওই কোম্পানির নামে রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছে। ওইসময় সিনহা পিপলস এনার্জির নির্বাহী পরিচালক মামুন হায়দার এমন অভিযোগ করে গনমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, জায়গাগুলো সায়েম আহম্মেদ নিজের দাবি করে কোম্পানির কাছে বিক্রি করতে চায় পরে স্থানীয় জনগন সায়েম আহম্মেদের প্রতারণা বুঝতে পেরে সরাসরি কোম্পানির কাছে জায়গা বিক্রি করেন তারা।
তৎকালীন সময়ে এক প্রভাশালী জনপ্রতিনিধির সহায়তায় শেই যাত্রায় অল্পের জন্য রক্ষা পায় ছাত্রদলের এই সায়েম আহম্মেদ। পরে কিছুদিন আত্মগোপনে থেকে আবার শুরু করেন তার অপরাধমূলক কর্মকান্ড। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পরেছে আলীরটেকবাসী। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না।
স্থানীয়ারা জানান, সায়েম আহম্মেদ আলীরটেকবাসীর জন্য এক আতংকের নাম। মানুষের উপর জোর জুলুম, অত্যাচার সহ নানা অপরাধের গুনের অধিকারী সে। এখন সে আবার জনপ্রতিনিধি হতে মরিয়া উঠেছে। তার মত লোক জনপ্রতিনিধি হলে এলাকার মানুষের দুঃখের শেষ থাকবে না।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, সব সময় শুনে আসছি সায়েম আহম্মেদ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করতো সে। জিয়ার আদর্শিক সৈনিক ছিলেন সায়েম। কলেজ ছাত্রদল থেকে শুরু করে জেলা ছাত্রদলে তার ভূমিকা ছিল চোখে পরার মত। সে আবার আওয়ামীলীগ নেতা হলো কিভাবে। যে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করে তাকে আওয়ামীলীগ নেতা ও আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বানাচ্ছে কারা।
তারা আরো জানান, নিজেদের পকেট ভারী করে কিছু কতিপয় নেতা তাকে আওয়ামীলীগ নেতা বানানোর মিশনে নেমেছেন। সদর থানা আওয়ামীলীগের কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রদল নেতা সায়েম আহম্মেদের নাম প্রস্তাব করেছে কমিটির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ দিচ্ছেন তারা। সায়েম আহম্মেদ আলীরটেকের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা বানিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবির সাথে নিজের ছবি দিয়ে শহরময় লাগিয়েছেন পোষ্টার। সরকারের উন্নয়নে বাধাগ্রস্থকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাই কে রুখে দাড়াতে হবে। সায়েম সহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে সায়েম আহম্মেদকে একাধীকবার ফোন দেওয়া হলে তার মোবাইল ফোনটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।